এ প্রসঙ্গে কালিম্পংয়ের জেলা প্রশাসন সমর্থিত 'অ্যাক্ট (ACT)' অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম - সংরক্ষণ ও পর্যটন সংস্থা (Association for Conservation and Tourism - ACT) -এর আহ্বায়ক তথা পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু বলেন, 'কোভিডের সময় যে ক্যাম্পগুলো রান করেছিলাম, সেটা সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে সেফ ডেস্টিনেশন আউটিং। মরশুম শুরু হওয়ার আগে পুরো ভ্যাকসিনেটেড (vaccinated) হয়ে যাও। তো সেটা করাতে এদিন আমরা পৌঁছে যাই রাংভাং-তাবাকোশি এলাকায়। এখানকার স্থানীয়রা নিজেরাই সবটা আয়োজন করেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।'
advertisement
রাজবাবু আরও বলেন, 'আমার একটা কথা বলতে খুব ভালো লাগছে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের মোটের ৫০-৫৫ শতাংশ মানুষ আজ ভ্যাক্সিনেটেড হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু বাকি আছে যেগুলো আমরা শনাক্ত করছি। আজকের গন্তব্যস্থলটাও পকেট এলাকা (pocket tourist spot) হওয়ার দরুন নজর এড়িয়ে চলেছিল। তবে সকলের যৌথ ও মৌলিক উদ্যোগে আজ আমরা এই গ্রামের ১২৬ জনকে টিকার আওতায় আনতে পারলাম। ভবিষ্যতে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থাপনাও যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেই খেয়ালও অ্যাক্টের তরফে রাখা হবে।'
একই সুর শোনা গেল ব্যবসায়িক সংগঠন সিআইআই (CII) -এর উত্তরবঙ্গ জোনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় টিব্রিওয়ালের গলায়। তিনি বলেন, 'আমাদের উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় এরকম প্রচুর পকেট (pocket) গ্রাম রয়েছে যেখানে কোভিডের টিকার প্রয়োজন সবথেকে বেশি। আমি অ্যাক্টের (ACT) প্রত্যেক সদস্যদের পাশাপাশি রাজ্য সরকার, মিরিকের প্রশাসন, মিরিকের বিএমওএইচ (BMOH) তথা এসডিও (SDO), ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে (Deputy Magistrate) ধন্যবাদ জানাতে চাই এত সুন্দর আয়োজনের জন্য। পুজো সামনে ফলে অনেকেই ডাবল ভ্যাকসিনেটেড (Double Vaccinated) হয়ে গিয়েছেন। সুতরাং তাঁরা চাইবেন ঘুরতে আসতে, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষই যদি একইভাবে টিকার আওতাভুক্ত হয়ে যায় তবে পুজোর আগে পর্যটন আরও শক্তপোক্ত হবে বলে মনে করি।'