এদিকে টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা খোয়ানোর আশঙ্কা, এদিকে একের পর এক খুশির খবর। তবে, দোটানা থাকলেও যেন খুশির খবর বহাল থাকছে। ২৮ অগাস্ট থেকে অবশেষে চালু হতে চলেছে ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন (Vista Dome tourist special trains) । তবে ট্রেন চালু হওয়ার আগে সবকিছু খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার এনজেপি স্টেশনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রেলের আধিকারিকেরা। এদিন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম ও কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম’রা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই নতুন ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন ঘিরে উৎসুক পর্যটক এবং যাত্রীরা।
advertisement
এই ট্রেনটি প্রতি সপ্তাহে শুক্র-শনি ও রবিবার শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার স্টেশন পর্যন্ত যাবে। তার মাঝে বেশকিছু স্টেশনে এই ট্রেনটির স্টপেজ রয়েছে। তবে স্টেশনের স্টপেজ নিয়েও মনমালিন্য চলছিল। এদিন রেলের আধিকারিকেরা জানান, চালসা এবং হাসিমারায় এই ট্রেন দাঁড়াবে। ভিস্তাডোম কোচের (Vista Dome tourist special trains) পাশাপাশি এই ট্রেনে নন এসি চেয়ার কার ও এসি চেয়ার কারও থাকছে।ভিস্তাডোম কোচে থাকছে ৪৪টি সিট। সেই সিটগুলি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে। সম্পূর্ণ কাঁচের তৈরি এই কোচের ভেতর থেকেই জঙ্গল ও ডুয়ার্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। আইআরসিটিসি থেকে করা যাবে আগাম বুকিং, থাকবে খাবার কেনার ব্যবস্থা।
তবে, ট্রায়াল রান শুরু হওয়ার আগেই বদল হল ভিস্তাডোমের (Vista Dome tourist special trains) রুটে। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রুটে মাদারিহাটে দাঁড়াবে না ট্রেন। কিন্তু মাদারিহাট জলদাপাড়ার গেটওয়ে। বলা চলে ডুয়ার্সের রাজরানী! এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এবং রেল মন্ত্রকের কাছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি মাদারিহাটে স্টপেজের আর্জি জানায়। অবশেষে রাতেই নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল। মাদারিহাটে দাঁড়াবে ট্রেন।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যালের কথায়, ‘মাদারিহাটে ট্রেন না দাঁড়ালে পর্যটকরা জলদাপাড়ার জঙ্গল উপভোগ করতে পারত না। আর সেটা জলদাপাড়ার পক্ষেও খারাপ হত।' বৃহস্পতিবার এনজেপি থেকে ট্রায়াল রান হল ভিস্তাডোম কোচটির।
ডুয়ার্সের জঙ্গল-পাহাড় সরাসরি কাঁচের ভেতর থেকেই দেখতে পারবেন পর্যটকরা। এদিকে বুকিং শুরু হতে না হতেই ঝাপিয়ে পড়েছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। জানা গিয়েছে, আগামী দু'সপ্তাহের বুকিং ফুল হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সফরগুলির জন্যও প্রায় ৫০ শতাংশ সিট বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকেরা। এতে একটা জিনিস স্পষ্ট, পর্যটকরা মন-প্রাণ দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন ভিস্তাডোম (Vista Dome tourist special trains) চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে।
এছাড়াও পোস্ট, ছবি, ট্যাগ দিয়ে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। শুধুমাত্র অপেক্ষা শনিবারের। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভ্রমণপ্রেমী, পর্যটন ব্যবসায়ী ও পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ।
ভাস্কর চক্রবর্তী