শিলিগুড়ি উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন গৌতম দেব (Goutam Deb) এদিন বলেন, 'নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিলিগুড়ি উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয় এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমা। এই পথ আজ ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করল। সেই দিনকে উদযাপন করতে নানা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্রতী হয়েছে শিলিগুড়ি উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। আমার শুভেচ্ছা তাঁদের সঙ্গে থাকল।'
advertisement
এদিন শিলিগুড়ি উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা নমিতা কুণ্ডু দাস নিউজ ১৮ লোকালকে (News 18 Local) বলেন, 'শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশে এনে আমাদেরকে সঙ্গে করে আমাদের মেয়েরা অর্থাৎ আমাদের ছাত্রীরা আয়োজন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। খুবই ভালো লাগছে। সেই ভালো লাগাটা কোনও শব্দ দিয়ে তা ব্যাখ্যা করা যায় না। আমাদেরকে ওরা সংবর্ধিতও করেছে। ছাত্রীদের কাছ থেকে এই সম্মান আমাদের কাছে যেন সব থেকে বড় পাওনা হয়ে থাকল।' নমিতাদেবী আরও বলেন, 'প্রথম থেকেই ছাত্রীদের সঙ্গে আমি ছিলাম, আছি এবং সুদূর ভবিষ্যতে ওরা যা পদক্ষেপ নেবে তার সঙ্গে আমি সবসময় থাকব। '
অন্যদিকে, আমরা প্রাক্তনী দলের তরফে সুপ্তি শূর রায় সেন, সংযুক্তা বসু, সংহিতা নাগ, নিপুণা বসাক ও সুচন্দ্রা দাসগুপ্ত নিউজ ১৮ লোকাল কে বলেন, 'আমরা প্রাক্তনীরা এদিন লাটাগুড়ির কাছে বিচাঁভাঙ্গা গ্রামে এসে পৌঁছেছি। শিলিগুড়ি উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমরা ৭৫টি গাছ রোপণ করে বনসৃজনে ব্রতী হয়েছি। মূলত আমাদের স্কুলের পুরোধা তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা অমিয়া সেনগুপ্তর নামে আমরা এই বনসৃজন করি এবং সেই বনের নাম অমিয়া কানন রেখেছি। সম্পূর্ণটাই আমাদের দিদিমনির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে।'
পাশাপাশি, ক্যাম্পিং দে' ডুয়ার্সের কর্ণধার তন্নিষ্ঠা রক্ষিত নিউজ ১৮ লোকালকে (News 18 Local) বলেন, 'অ্যাসোসিয়েশন ফর কনসার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (Association for Conservation and Tourism) অর্থাৎ অ্যাক্টের (ACT) কমিউনিটি হেলথ কো-অর্ডিনেটর (Community Health Co-ordinator) হিসেবে আসলে আমি কাজ করি। আর সেই কাজ করতে গিয়ে আমি স্বাস্থ্য কতটা জরুরি তা জানতে পারি। আমরা প্রাক্তনীদের দল যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তারা জানান যে তারা ঔষধি গুণসম্পন্ন ৭৫টি গাছ রোপণের মাধ্যমে বনসৃজন করতে চান, আমি আর পিছিয়ে যেতে পারিনি। আমি আমার এই রিসর্টের প্রাঙ্গণ খুলে দিয়েছি তাদের জন্য।' তন্নিষ্ঠাদেবী আরও বলেন, 'আমি এই বিদ্যালয়ে পড়িনি। তবে আমার মা ও কাকিমা এই স্কুলেরই ছাত্রী। তবে আজ এই মহতি উদ্যোগে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সত্যিই ধন্য মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমিও প্রাক্তনীদের একজন। '