কিন্তু এই সাঙ নিয়েই বর্তমানে চলছে বিভিন্ন চাপানউতোর। কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগরের পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের জগদ্ধাত্রী পুজোর সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভা হয়। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারের সভায় আলোচ্য বিষয় গুলি পরিষ্কার ছিল না অনেকের কাছেই। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ জেলাশাসক অন্যান্য বিশেষ নেতৃবর্গ। উক্ত আলোচনায় স্থির হয় কোভিড বিধির কারণে জগদ্ধাত্রী পুজোর সাঙ প্রথা এবারে বন্ধ থাকবে। সেই থেকেই শুরু হয় পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব।
advertisement
পুজো উদ্যোক্তারা চান এত বছরের কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য সাঙ প্রথায় বিসর্জন দিতে। যা নিয়ে মত বিরোধ বাধে প্রশাসনের সাথে। গতকাল রাতে সমস্ত কৃষ্ণনগর শহর জুড়ে বিভিন্ন পূজা কমিটি অবস্থান-বিক্ষোভ করে। কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক জায়গায় এই বিক্ষোভ হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও টায়ার জ্বালিয়ে ঐদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়।
জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকার দরুন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। সেখানেই আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সে ছিল সাত বছরের একটি অসুস্থ শিশু। শিশুটিকে মালদা থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চিকিৎসার জন্য। কৃষ্ণনগরের কাছে জাতীয় সড়ক বিক্ষোভের কারণে বন্ধ থাকার দরুন দীর্ঘক্ষন অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকে যানজটের মধ্যে। অ্যাম্বুলেন্স এর ভেতরেই মারা যায় শিশুটি। ইতিমধ্যেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। শিশুটির অকাল মৃত্যুর কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলেও। এবং তার সাথে সাথে সাঙ প্রথার মাধ্যমে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনও এখন প্রশ চিহ্নের মুখে।
মৈনাক দেবনাথ