মালবিকা বিশ্বাস , পূর্ব বর্ধমান:
করোনার বিধিনিষেধ মেনে পূর্ব বর্ধমানে পালিত হল রথযাত্রা। গতবছরের মত এ বছরেও একই চিত্র ধরা পড়ল জেলার একাধিক জায়গায়। বেশ কিছু জায়গায় রথের দড়িতে টান পড়লেও জেলার পরিচিত সর্বমঙ্গলা মন্দিরের রথের দড়িতে এ বছর পরলো না টান। পুজো হল মন্দিরের অন্দরেই। মূলত করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নিয়ম রক্ষায় হল শুধুই ব্রাহ্মণ দিয়ে পুজো। সাধারণত এখানে তিনটি পৃথক রথে জগন্নাথ, বলদেব, সুভদ্রাকে নিয়ে মহাসমারোহে রথ উৎসব পালন করা হত। কিন্তু এবার রথের অনুষ্ঠানে ভাটা পড়েছে।
advertisement
এবছর রথযাত্রায় জনসমাগম ও মেলা কাটছাঁট করা হয়েছে। বহিরাগতদের মন্দির চত্বরে প্রবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে। এদিন মন্দিরে আসা ভক্তরা বলেন, প্রতি বছরই অধিষ্ঠাত্রী দেবীর রথের দর্শন করা হয়, কিন্তু এবছর রথ বের করা হয়নি, শুধু মাত্র নিয়ম মেনে পুজো হয়েছে।
এদিকে, বর্ধমান সদর দু নম্বর ব্লকের হাট গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত হাটগোবিন্দপুর বনগ্রাম ঠাকুর নবকৃষ্ণ আশ্রমে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও করোনা কে সামনে রেখে রথযাত্রা পালিত হচ্ছে তবে করোনার বিধি মেনে এবার রথের চাকা আশ্রমের বাইরে বের হয়নি।
অন্যদিকে,বিধি মেনে পালন হল বর্ধমান দু নম্বর সদর ব্লক গাংপুর সংলগ্ন স্বস্তি পল্লীর ভ্রাতৃ সংঘের রথ যাত্রা। দীর্ঘ ২৩ বছর পুরনো এই রথ যাত্রা। প্রতিবছর রথের দড়িতে টান দেয় অসংখ্য ভক্ত। তবে এবছর সব কিছুই কার্যত বন্ধ। গড়ালো না রথের চাকা। মন্দিরের সামনেই নমঃ নমঃ করে পালন হল রথ যাত্রার অনুষ্ঠান। এ বছরও বসছে না রথের মেলা। তবে সমস্ত রকম রীতিনীতি মেনে নিয়ম রক্ষায় পালন হল এ বছরের রথযাত্রা।
অন্যান্য বছর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে বেরিয়ে এলাকা পরিক্রমা করে মাসির বাড়িতে যায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। কিন্তু সব কিছুই বন্ধ থাকলো এবছর। যার জেরে এলাকার বাসিন্দাদের কার্যত মন খারাপ। প্রতিবছর রথযাত্রা কে কেন্দ্র করে মেতে ওঠে এলাকার বাসিন্দারা। তবে টানা দু\'বছর ধরে রথযাত্রার অনুষ্ঠান হচ্ছেনা জাঁকজমক করে। ফলে আনন্দের গমগম করছে না পূর্ব বর্ধমান জেলা।






