কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপ দেওয়ার চল ঘরে ঘরে। বাংলা জুড়ে কথিত আছে কালীপুজো কালীপুজো আগের দিন ভূত চতুর্দশীতে অপদেবতারা ঘুরে বেড়ায়। অন্ধকার জায়গায় তারা অবস্থান করে। কোন ঘর অন্ধকার থাকলে সেই ঘরে তারা বসবাস করে। তাই গ্রাম বাংলার মানুষ জনেরা কালীপুজোর আগের দিন রাতে ও কালীপুজোর দিন প্রদীপ জ্বেলে ঘরবাড়ি আলোকিত করে। ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপ জ্বেলে অপদেবতার করার একমাত্র উপায় ছিল। বর্তমানে মাটির প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতির আলো ঘরে ঘরে। বৈদ্যুতিক বাতির দাপট বাড়ায় প্রদীপের শিখার আলো দিনদিন ফিকে হয়ে পড়ছে। আর তাতেই সমস্যায় কুমোর পাড়ার পরিবারের।
advertisement
কালীপূজার সময় ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক বাতির দাপট বাড়ায় প্রদীপের অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয়েছে। সমস্যায় পড়েছে পটুয়ারা। মাটির প্রদীপ এর সঙ্গে বাংলার লোকসংস্কৃতি বন্ধন চিরকালীন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ সেই গাঁটছড়া আলগা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় ফিকে হয়ে গেছে মাটির প্রদীপ শিখা। বৈদ্যুতিক বাতির আলো গলা টিপে ধরেছে প্রদীপ শিখার। ফলে ক্রমশ কালীপুজোর সময় চাহিদা হারাচ্ছে মাটির প্রদীপ।
মাটির প্রদীপের বিক্রি দিনদিন তলানীতে থাকায় কালীপুজোকে লক্ষ্য করে মাটির প্রদীপ তৈরি করার ব্যস্ততা নেই কুমোর পাড়ায়। নন্দকুমার ব্লক এর রাউতৌড়ি গ্রামের এক পটুয়া পরিবারের মহিলা সদস্য জানায়, প্রতিবছর মাটির কালি পুজোর সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা ক্রমশই কমছে। বৈদ্যুতিক বাতির কারণে মাটির প্রদীপের বিক্রি নেই। গত বছর কালীপুজোর সময় ১৫ হাজার মাটির প্রদীপ তৈরি হয়েছিল। এবছর চাহিদা কম থাকায় মাত্র ছয় হাজার মাটির প্রদীপ করা তৈরি হচ্ছে। ফলে টান পড়েছে রোজগারে।






