হলদিয়ার ভবানীপুর (Haldia Bhawanipore Police station) থানা এলাকার বাড় উত্তর হিংলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশখানা মৌজায় হলদি নদীর তীরে নতুন ভবনের তৈরির কাজ চলছিল। ১৯৮৬ সালের পরিবেশ রক্ষা আইনের ১৯৯১ সালের (৩) ধারা অনুযায়ী প্লাবনভূমি পর্যন্ত কোনরকম কংক্রিটের ঘরবাড়ি নির্মাণকার্য করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল একটি হোমস্টে নির্মাণ।
advertisement
হলদিয়ার কোস্টাল রেগুলেশন (Haldia Coastal Regulation Zone) জোনের ২০১১ সালের এক বিজ্ঞপ্তিতেও তা বলা রয়েছে। নদীর প্লাবনভূমি এলাকায় কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যদি নির্মাণ কাজ করতে চায় তা হলে ভারত সরকারের পরিবেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে অনুমতি নিতে হবে৷ কিন্তু অভিযােগ হলদি নদী তীরবর্তী এলাকায় এই হোম স্টে নির্মাণের কাজ চলছি নিয়মনীতির তােয়াক্কা না করেই (illegal home stay)। স্থানীয়দের অভিযোগ এতদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় কাজ চললেও তা বন্ধ করার পদক্ষেপ নেয়নি প্রসাশন।
আরও পড়ুন Bengali News| West Midnapore: দীর্ঘ ১৯ বছর পর মেদিনীপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় ভকতের বাড়িতে জ্বলল আলো!
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কারের দফতর থেকে আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান (Administrative officers visited) । আধিকারিকরা দেখেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে অবৈধ নির্মান। আধিকারিকেরা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ব্যবসার কারনে একটি বেসরকারি সংস্থা এই নির্মানকার্য চালাচ্ছে। ওখানে হােম স্টে তৈরি হওয়ার কথা। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (environment pollution)। তাছাড়া ওই বেসরকারি সংস্থার চারপাশের প্রাচীরটিও প্রায় নদী বরাবর নির্মিত হয়েছে।
এভাবে নদীর প্লাবনভূমির মধ্যে সবুজ ধ্বংস করে (greenery destruction) কংক্রিটের নির্মান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে হলদিয়ার পরিবেশ কর্মীরা। এক পরিবেশকর্মী জানান, পরিবেশ আইনকে বুড়াে আঙুল দেখিয়ে কী করে নির্মান হচ্ছে বুঝতে পারছি না! এর ফলে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বাস্তুতন্ত্রের উপর। বাড় উত্তর হিংলি পঞ্চায়েতের প্রধান ওয়াহাব আলি জানান, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই নির্মান চলার কথা স্বীকার করেছেন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি মানস বসু। তার দাবি, নতুন ভবন তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের অন্য কোন মন্ত্রকের কাছ থেকেও কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী জানান, নদীর পাড়ে নির্মানের খবর আমার কাছে আসে। ভূমি দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শনে গেলে নির্মানের পক্ষে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।