মহিষাদল ব্লকের নাটশাল এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুম্ভচক এবং নাটশাল দুই নম্বর ও অমৃত বেড়িয়ার ভোলসরার সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের চর দখল করে স্থানীয় এলাকাবাসী। সেই দখল উচ্ছেদে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। ঐ এলাকায় ম্যানগ্রোভ চারা লাগানাের জন্য একশাে দিনের কাজের প্রকল্পে আপাতত চলছে হােগলা বন সাফাইয়ের কাজ।
পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও অনুপম খান জানান, ওই দুটি চরে ম্যানগ্রোভ চারার বেডসিট তৈরির কাজ চলছে। আগস্ট মাসের শেষের দিকে রােপন করা হবে ম্যানগ্রোভ চারা ও বীজ। তার আগে ট্রেঞ্চ কাটা হবে। রূপনারায়ণের জোয়ারের জলের পলি পড়া কাদাতে লাগানাে হবে ম্যানগ্রোভ। গাজিপুর এলাকায় বেআইনি নির্মান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ঐ এলাকায় থাকা ইটভাটা চত্বরেও ১০ লক্ষ ভার্টিভার ঘাস লাগানাে হবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের সহযােগিতায় মায়ার বাঁধ ও সতীশ সামন্ত এলাকার সব বাঁধ জুড়েই হবে সামাজিক বনসৃজন।
advertisement
মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানান, "ইয়াস ও পরবর্তী প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ওই চরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আটকাতে তিনটি স্তরের বৃক্ষ রোপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম স্তরে লাগানো হবে ম্যানগ্রোভ। দ্বিতীয় স্তরে কেয়া এবং শেষ স্তরে লাগানো হবে ঝাউ গাছ। এর ফলে যেমন ওই দ্বীপ বা চরে বেআইনি বসবাস ঠেকানাে যাবে, তেমনই ইয়াসের মত দুর্যোগ রক্ষা করা যাবে উপকূলবর্তী অঞ্চল।"
বন সৃজনের জন্য জেলা প্রশাসন বন দফতরের হাতে জেলা জুড়ে দু’হাজার একর জায়গা দিয়েছে বলে জানান পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুদীপ্ত পোড়েল। বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী মহিষাদলের বিডিও যােগেশচন্দ্র মন্ডলও। তিনি জানান, "অমৃত বেড়াতে আমরা ৬২ হেক্টর এবং নাটশালে ১০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানাের পরিকল্পনা করেছি। তিনি জানান, মহিষাদলে পাঁচটি স্থান নির্ধারন করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনটিতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দুটিতে ম্যানগ্রোভ নার্সারি হবে। আপাতত, মহিষাদল সেচ খাল ধরে তেরাপেখ্যা থেকে গাড়ুঘাটা নদী বাঁধের দুই পাশের জমিতে ভাটিভার ঘাস লাগানাে শুরু হয়েছে।"
Saikat Shee