স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের পর রাজ্যজুড়ে চালু করা হয়েছে টেলিমেডিসিন। ডাক্তার দেখাতে আর বড় হাসপাতাল বা শহরে ছোটাছুটি নয়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসা পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে রোগী ও ডাক্তার বাবু মুখোমুখি বসছে। রোগী তার সমস্যা জানাচ্ছে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমেই, ডাক্তারবাবু রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেন। সেই প্রেসক্রিপশন ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে রোগীদের হাতে ঔষধপত্র তুলে দিচ্ছেন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার।
advertisement
একদিকে যেমন রোগীদের যাতায়াত করতে হচ্ছেনা শহরে ডাক্তার দেখানোর জন্য, তেমন বড় হাসপাতালের লাইন দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অনেকটাই সময় নষ্ট হত। এমনকি দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ডাক্তার না দেখিয়ে ফিরে আসতে হত রোগীদের। কিন্তু টেলিমেডিসিন পরিষেবা এক্ষেত্রে চিকিৎসাশাস্ত্রে বিপ্লব এনেছে। রোগী বা রোগীর পরিজন শরীরে রোগ অনুযায়ী পেয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাবুদের পরামর্শ। তাদের বাঁচছে সময়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী টেলিমেডিসিন পরিষেবায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলা। ১২৪ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার টেলিমেডিসিন নোডাল অফিসার ও সহকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর দিব্যেন্দু চক্রবর্তী এ বিষয়ে জানিয়েছেন, " পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলায় টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২০ থেকে ২৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার ১২৪ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই টেলিমেডিসিন পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। টেলিমেডিসিন পরিষেবার জন্য প্রতিটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র একজন কমিউনিটি হেলথ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রোগীদের আর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য লাইন দিতে হবে না, গ্রামে গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে রোগীরা তাদের শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও মাফিক ওষুধ পাবে। এতে যেমন রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সময় বাঁচছে, তেমনি করোনার কালে ভীড় এড়ানো যাচ্ছে। তবে এই পরিষেবা শুধু করোনার কালে নয়, সারাবছরই মিলবে।"
সৈকত শী