ক্রমশই বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা। চলতি মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ৪০। ৭ই জুন সোমবার পশ্চিমবঙ্গে বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০ এর ওপর। ঐদিন পশ্চিমবঙ্গের মোট বজ্রপাত হয়েছে ৬১ হাজার ৩৬৪। এরমধ্যে আকাশ থেকে মাটিতে ৩৮ হাজার ৫৬৮টি বাজ পড়েছে ও মেঘের মধ্যে ২২ হাজার ৭৯৬ বাজ। গত সোমবার ৭ই জুন থেকে এইদিন পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা চার।
advertisement
পরিবেশবিদদের মতে বৃক্ষছেদন ও অপরিকল্পিত গাছ লাগানোর ফলে বাড়ছে উষ্ণায়ন ও দূষণের মাত্রা। উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। এর আর তাতেই বজ্রপাতের সংখ্যা। পক্ষে পরিবেশবিদদের ধারণা বেশি পরিমাণে তাল, নারকেল, সুপুরি, শ্যাওড়া, বট ছাতিম গাছ যথেচ্ছ ছেদনের ফলে বজ্রপাতে নির্গত কণা বাতাস থেকে শোষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে পরিবেশ। বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা।
পরিবেশবিদদের দাবি বজ্রশোষক হিসাবে নারকেল তাল শ্যাওড়া বট ছাতিম জাতীয় গাছের খুব প্রয়োজন। বজ্রপাতের ফলে বাতাসে ভাসমান কনা শুষে নিয়ে বৈদ্যুতিক চার্য আটকাতে সক্ষম এই গাছগুলো। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন সহ সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলাশাসককে ই-মেইলের মাধ্যমে নারকেল, সুপুরি, শ্যাওড়া, বট ছাতিম সহ প্রভৃতি বজ্রশোষক গাছ ১০০ দিনের কর্ম প্রকল্পে লাগানোর জন্য আবেদন করেছেন।
মামুদ হোসেনের অভিমত এই জাতীয় গাছই পারে বাংলাকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে। তাই তিনি জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন বজ্রশোষক গাছ লাগানোর।