রামনগর দুই নম্বর ব্লকের বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর প্রিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত ভূঁইয়ার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। মধ্য চল্লিশের দেবব্রত ভূঁইয়ার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ায়, বাড়ির লোক চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল। তারপরও ভালো চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে নিয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার তোড়জোড় শুরু করে পরিবারের লোকজন। ভেলোরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার তোড়জোড় শুরু করে পরিবারের লোকজন।
advertisement
চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ভেলােরের একটি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়ে চিকিৎসা চলাকালীনই চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খায় পরিবারের লোকেরা। এমনকি এরপর চিকিৎসা চালাতে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তাও ছিল না তাঁদের কাছে। ভেলাের থেকেই ফোন মাধ্যমে বাদলপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অনন্যা জানার সঙ্গে যোগাযােগ ফোনে দেবব্রতর স্ত্রী ঝর্ণা ভূঁইয়া। জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তৈরির বিষয়ে আবেদন জানান প্রধানের কাছে। প্রধান এ বিষয়ে কথা বলেন রামনগর দুই নম্বর ব্লকের বিডিও বিপ্রতীম বসাকের সঙ্গে। বিডিও আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দ্রুতই পাবে ঐ পরিবার।
বিডিও এর আশ্বাসে ভোলারের হাসপাতালে স্বামী দেবব্রতকে রেখে বাড়ি ফিরে আসেন ঝর্ণা ভূঁইয়া। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে দ্রুত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কার্ড তৈরির তােড়জােড় শুরু করেন বিডিও। সেই মতো ৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দপ্তরে এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদনপত্র জমা করে ঝর্ণা ভূঁইয়া। বিকেল তার হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শ্বেতা আগরওয়াল।
এবিষয়ে রামনগর দুই নম্বর ব্লকের বিডিও এর সঙ্গে ফোনে কথা বললে, "বিডিও বিপ্রতীম বসাক বলেন, ক্যানসার আক্রান্তের পরিবারের লোকেদের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দিতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি। চিকিৎসার জন্য আর অন্তত চিন্তা করতে হবে না তাদের। শুধু ঐ পরিবার এরকম অনেক পরিবারের হাতে জরুরী ভিত্তিতে তুলে দেওয়া স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড।"
Saikat Shee