শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হয় (Sarbamangala puja in bardhaman)। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে সেই সময় শিলামূর্তিটির কোনও ক্ষতি হয়নি।
ওই রাতেই স্বপ্নাদেশ পান তৎকালীন রাজা সঙ্গম রায়। এরপর শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা (Sarbamangala puja in bardhaman) নামে পুজো শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য করে সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব।
advertisement
রাঢ়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী সর্বমঙ্গলার (Sarbamangala puja in bardhaman) হাত ধরে দুর্গাপুজো (Durga puja 2021) জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বর্ধমান জেলা জুড়ে। কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভুজা। সিংহবাহিনী দুর্গাই পুজিত হন সর্বমঙ্গলা রূপে।
তিনশো পয়ষট্টি দিনই সর্বমঙ্গলা (Sarbamangala puja in bardhaman) মন্দিরে হয় রাজকীয় আয়োজন। রাজবেশ ও দামী গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয় সর্বমঙ্গলাকে। এরপর তোলা হয় সিংহাসনে। পুজো, মঙ্গলারতির মাঝেই চারবেলা চলে ভোগ।এসবের মধ্যেও পুজোয় আড়ম্বর থাকে দ্বিগুণ।
প্রতিপদে বর্ধমান রাজবাড়ির কৃষ্ণসায়র থেকে ঘটে জল ভরে নিয়ে আসা আসা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।কলাবউকে রেখে ঘট স্থাপন করা হয় মন্দিরে। নবমীতে হয় কুমারী পুজো। দশমীতে অপরাজিতা পুজোর মধ্যে দিয়ে শারদোৎসব শেষ হয়।
মন্দিরের (Sarbamangala puja in bardhaman) এক প্রবীণ পুরোহিত অরুণ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, " এই সর্বমঙ্গলা মন্দির অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির। প্রাচীন এই মন্দির বর্ধমানের মানুষের কাছে পবিত্র তীর্থস্থান। রীতিনীতি মেনে আজও হয় দুর্গাপুজো। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আসেন পুজো উপলক্ষ্যে। ইতিমধ্যে পুজোর জন্য মন্দিরে তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে। "
এরইমধ্যে মন্দিরে (Sarbamangala temple in bardhaman) প্রায় রঙের কাজ শেষ। কারণ মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তাই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এমনকি নাওয়া খাওয়া ভুলে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা করছেন পুজোর কাজ।
Malobika Biswas