TRENDING:

Traditional Durga puja:  আজও দশমীতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় গুসকরার চোংদার জমিদার বাড়িতে

Last Updated:

Traditional Durga puja: জমিদারি পাওয়ার পর থেকেই শুরু দুর্গাপুজো। সেই রীতিনীতি মেনে আজও দুর্গাপুজো হয় গুসকরারার চোংদার জমিদার বাড়িতে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান : কত বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে তা জানা নেই। তবে হরিশচন্দ্র চোংদার এবং গিরিশচন্দ্র চোংদারের (Traditional Durga puja) হাত ধরে বর্ধমানের রাজার সহযোগিতায় জমিদারিত্ব পান এই দুই ভাই। যথারীতি শুরু হয় দুর্গাপুজো।
advertisement

প্রতিটি জমিদার বাড়িতেই পুজোর ভিন্ন রীতি ছিল। একই ভাবে চোংদার জমিদারি বাড়ির(Traditional Durga puja) পুজোরও বেশ কিছু রীতি ছিল। যা আজও অব্যাহত।  প্রচলিত প্রথা মেনে আজও পুজোর যাবতীয় কাজ করেন পুরুষরাই। মহিলাদের পুজোর এই চার দিন একপ্রকার ছুটি বলাই যায়। পুজোর চার দিন মহিলাদের কাজ রান্না বান্না করা।

চোংদাররা ছিলেন ঠিকাদার। কলকাতার রেড রোড তাঁদের তৈরি। এরপর গুসকরায় আসেন, সুসম্পর্ক তৈরি হয় বর্ধমানের রাজার(Traditional Durga puja) সঙ্গে। জমিদারি পান গুসকরার। এরপর থেকেই জমিদার বাড়িতে চলে আসছে দুর্গাপুজো। কাজের সূত্রে পরিবারের অনেকেই বর্তমানে নানা প্রান্তে থাকেন। তবে পুজোর সময় সকলে হাজির হন গুসকরার এই বাড়িতে।

advertisement

চলুন জেনে নেওয়া যাক চোংদার জমিদার বাড়ির পুজোর(Traditional Durga puja) রীতি। এনিয়ে পরিবারের সদস্য নিলয় চোংদার বলেন, " যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথা আজও মানা হয় আমাদের পরিবারে। ষষ্ঠীতে সংকল্প হয়। চৌদোলা করে ঘট আনতে যায় পরিবারের দুই সদস্য।

যারা এই ঘট স্থাপন করবেন তাঁদের অবশ্যই গুরু দীক্ষা থাকতে হবে। সপ্তমীতে স্থাপন করা হয় ঘট। ঘট আসে দুটি। একটি কুলোদেবতা বটুক ভৈরবের অপরটি মা দুর্গার। দশমীতে দুর্গার ঘট বিসর্জন হলেও কুলোদেবতার ঘট বিসর্জন হয় না। ওই দিন ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় ভৈরবনাথের ঘর অর্থাৎ পঞ্চমুন্ডির আসনে।

advertisement

শাক্ত মতে পুজো হয় এই বাড়িতে।  মূলত গুরু বাড়ি ও শিষ্য বাড়ি মিলিত ভাবে দুর্গা পুজো করে থাকে। গুরু বাড়ি থেকে একজন(Traditional Durga puja) পুরোহিত আসেন তিনি মন্ত্র উচ্চারণ করেন, আর বাড়ির একজন বসেন পুজোতে। অর্থাৎ তন্ত্রধারক ও তন্ত্রধর এই ভাবেই আমাদের পুজো হয়ে আসছে বংশ পরম্পরায়।

সপ্তমীতে জ্বালানো হয় হোম। সেই হোম ওই দিন থেকে জ্বলে নবমী পর্যন্ত। অষ্টমী তিথিতে কামান দাগা হত আগে। তবে এখন সেসব আর হয় না। নবমীতে হয় কুমারী পুজো। পুজোদালানে খেলতে থাকা বাচ্চাদের মধ্যেই পুরোহিত একজনকে কোলে তুলে নেন, তারপর নাম পরিচয় জানা হয়। তাকেই পুজো করা হয় দেবী জ্ঞানে।

advertisement

এক্ষেত্রে জাতিভেদকে উপেক্ষা করেই এ নিয়ম পালন হত আর যা আজও হয়ে আসছে। সপ্তমী থেকে চলতে থাকা হোমের পূর্ণা আহুতি হয়। আগে মোষ বলি হলেও, গত বছর থেকে চালকুমড়ো বলি হচ্ছে। দশমীতে হয় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। চতুর্ভুজ চোংদার ও বিদ্যাধরী দেবীর  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় এদিন। কারণ তাঁরা সহমরণের যজ্ঞ করেছিলেন। অর্থাৎ ইচ্ছা মৃত্যু বরণ করেছিলেন তাই প্রতি বছরই এদিন শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান(Traditional Durga puja) করা হয়ে থাকে।"

advertisement

সাধারণত জমিদার মানেই আমরা যা বুঝি তার একেবারে ভিন্ন রূপ তুলে ধরেছেন চোংদার জমিদাররা। সারা বছরই পুজোর মধ্যে দিয়েই কেটে যেত জমিদার বাড়ির সদস্যদের। আজও তার অন্যথা হয় না। কালী, শিব, নারায়ণ দেব দেবীর পূজার্চনায় ব্যস্ত এই পরিবার। শুধু পূজার্চনাই নয় মেয়েদের শিক্ষাদানের উপর জোর দিতেন তাঁরা।

একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৎকালীন (Traditional Durga puja) জমিদার তারাপ্রসন্য চোংদার ও অন্যান্যরা। আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে সেই স্কুল। গুসকরার মেয়েরা পড়াশোনা করে এই স্কুলেই। বংশ-পরম্পরা এরকম বহু সামাজিক কাজ করে এসেছেন চোংদাররা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Malobika Biswas

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Traditional Durga puja:  আজও দশমীতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় গুসকরার চোংদার জমিদার বাড়িতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল