কাঞ্চন নগরের বকুলতলায় বাড়ি পলাশ পালের। তিনিই। এই ৩৭ রকমের ফুচকার সমহার নিয়ে বসেন কালিবাড়ি সংলগ্ন মাঠে। বিকেল হলেই নিজের ফুচকার ভ্যান নিয়ে চলে আসেন পলাশ বাবু। দোকান গোছাতে না গোছাতেই ফুচকা খাওয়ার লাইন পড়ে যায় তাঁর স্টলের সামনে। ফুচকার ভ্যানে লাগানো তালিকা দেখে খরিদ্দাররা বেছে নেন নিজের পছন্দসই ফুচকা।
advertisement
কী কী রয়েছে ফুচকার তালিকায়
টক-ঝাল ফুচকা, দই ফুচকা তো আছেই। সঙ্গে আছে মোমো ফুচকা, চিকেন ফুচকা, মটন ফুচকা, বাহুবলী ফুচকা, পনির ফুচকা, আইসক্রিম ফুচকা, ড্রাই ফুট ফুচকা, ফায়ার ফুচকা, খাট্টা মিঠা ফুচকা, ভর্তা ফুচকা, রাবড়ি ফুচকা, জেলি ফুচকা, বিরিয়ানি ফুচকা, রাজশাহী ফুচকা, ম্যাংগো ফুচকা, লিচু ফুচকা, বাটার স্কচ ফুচকা-সহ আরও অনেক রকম। যা পড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন আপনি।
এরকমই নানা স্বাদের ফুচকা বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন পলাশ বাবু। ছেলে পলাশের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করেন মা অঞ্জলি পাল। কারন একা হাতে পলাশ বাবু সামলে উঠতে পারেন না সবটা। ভিড় সামাল দিতে সহযোগিতা করেন মা।
পলাশ (Palash pal) বাবু জানান, প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে লোক আসে ফুচকা খেতে। অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় এটা বেশ মজার। তিনি বলেন, অনেকে আমাকে ফোন করে ফুচকা খেতে আসেন। নিজেদের পছন্দমতো ফুচকা অর্ডার করে দেন ফোনই। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ছে যা আমার ভালো লাগার জায়গা।
যদি মুখের স্বাদ বদলাতে হয়। এক ঘেয়ে জলা আর দই ফুচকার বাইরে ভিন্ন স্বাদের ফুচকা ট্রাই করতে চান তাহলে একবার ঘুরে যেতে পারেন পলাশ বাবু ফুচকার স্টলে। এছাড়াও বাড়িতে বসে আপনি জেনে নিতে পারবেন সেই দিনের ফুচকার মেনু কি কি। সব মিলিয়ে এই ফুচকা যে আপনার সন্ধ্যেটা চটপটে করে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
Malobika Biswas






