বর্তমানে সরকারিভাবে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি ছাত্রছাত্রী প্রতি খাবারের জন্য স্কুলকে দেওয়া হয় চার টাকা ৯৭ পয়সা। আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি একজন পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ সাত টাকা ৪৫ পয়সা। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, বাজারে আলু এখন কেজি প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা। সরষের তেল ২২০ টাকা, সমস্ত সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে কেজি প্রতি। ফলে এই বরাদ্দ টাকায় পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব নয়(East Bardhaman News)।
advertisement
মিড-ডে-মিল নিয়ে এই ছবিটা সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রে প্রায় একই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মিড-ডে-মিল বন্ধ করে দেওয়ারও কোনও অবস্থা নেই। এ নিয়ে বর্ধমান শহরের একাধিক স্কুল, কৃষ্ণপুর হাইস্কুল, রথতলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের এক মত। তাঁরা বলেন, স্কুলের মিড ডে মিল চালাতে রীতিমত হিমশিম অবস্থা তাঁদের। সরকারি যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী প্রতি মিড ডে মিলের আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁরা আরও জানান, প্রতি মাসে প্রায় ১০ টা সিলিন্ডার লাগে সারা মাসের মিড ডে মিলের জন্য। এছাড়াও রয়েছে বাকি জিনিসপত্র। পড়ুয়াদের পুষ্টির যোগান দিতে কোন সবজি কিনবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না তাঁরা।
Malobika Biswas