নানা বাধা অতিক্রম করে দীর্ঘদিন ধরে এই পাঠশালা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। শুধু তাই নয় এই মহৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেলার বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা (Teacher)। বহু পথশিশু ইতিমধ্যেই এই পাঠশালায় আসছে। পড়াশোনা করছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা প্রতিদিন নিয়ম করে এক থেকে দেড় ঘণ্টা শিশুদের শিক্ষাদান করে থাকেন। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জেলার সমাজসেবী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা।
advertisement
সাধারণত পথশিশুরা শিক্ষার আলো পায় না। আর্থিকভাবে (Bengali News) সচ্ছল না হওয়ায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পথশিশুদের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করতে পারেন না। ফলে লেখাপড়া ইচ্ছেটুকুও মরে যায় পথশিশুদের। সে কথা মাথায় রেখেই ওই সব শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বর্ধমানের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজসেবীরা।
তবে এরইমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য শিশুদের নিরাপদে ক্লাস করানোর উদ্দেশ্যে জায়গাটি চারিপাশে খুঁটি পুঁতে টিনের চালা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে রেল দপ্তরের আধিকারিকরা সেই সব খুটিয়ে দেখে টিনের চাল খুলে ফেলতে বলেন। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা। পাশাপাশি রেল দপ্তরেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের দাবি করোনার সময়ে পথশিশুদের নিয়ে তারা একটি পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেছেন, এর ফলে পথশিশুরা ও পিছিয়ে পড়া অনেক শিশুই উপকৃত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে তাদেরকে বাধা দিলে শিশুগুলোর ক্ষতি হবে তাই অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
রেল দপ্তরের আধিকারিকদের এই আচরণে ব্যাঘাত ঘটেছে ওই পথচলতি শিশুদের পড়াশোনায়। কবে সব সমস্যা সমাধান হবে আবার শিশুদের নিয়ে স্বাধীনভাবে পঠন পাঠন শুরু করতে পারবে সংস্থার সদস্যরা তা সময় বলবে।
Malobika Biswas