জলের স্রোতে ভেঙেছে মাটির ঘর, ভেসে গেছে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই এই ধ্বংসলীলা অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় কুড়ি দিন পার হলেও এখনো গৃহহীন হাওড়ার শ্যামপুর , পূর্ব মেদিনীপুরের মায়াচর, খেজুরি, মন্দারমনি দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরদ্বীপ, ঘোড়ামারা দ্বীপ , পাখিরালয় দ্বীপের বহু মানুষ। এলাকাগুলিতে খাদ্য সংকটতো রয়েইছে, পাশাপাশি রয়েছে পানীয় জলের সংকটও। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফ থেকে মিলছে না কোন প্রকার সাহায্য।
advertisement
তবে নিজের জেলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী জেলাগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে হাওড়ার একাধিক সংগঠন। যেমন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময় থেকে প্রায় 15 দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের মায়াচরে বন্যা বিধ্বস্তদের জন্য ফ্রিতে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশমঞ্চের সদস্যরা। আবার সাইক্লোনের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি, আরোকবাড়িসহ সমুদ্র উপকূলবর্তী বিভিন্ন গ্রামে প্রায় 1500 জনের হাতে একযোগে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছে অবলম্বন, প্রত্যাশার মতো হাওড়ার বারোটি সংগঠন।
পাশাপাশি নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাস্তব জগতে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো একাধিক ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের কর্মকাণ্ডও। কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার অন্তর্গত মায়াচর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলো \'\'জনপ্রিয় আমতা\'\' নামের ফেসবুক গ্রুপ। আবার ফেসবুক পেজ \"প্রচেষ্টার\" তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগণার রুপমারী গ্রামে ত্রাণসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে। এরকমই হাওড়ার অসংখ্য সংগঠন প্রকৃতির রোষে জেরবার দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে সামর্থ্য মতো।
সব মিলিয়ে যেভাবে হাওড়ার সংগঠনগুলি মানবিকতার নজির সৃষ্টি করে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।