বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দরে দৈনিক গড়ে ২৬০ টি বিমান চলাচল করে। অথচ গত বছর ডিসেম্বরে সংখ্যাটি ছিল দৈনিক ৩৯০টির মত। কিন্তু ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন কমে যায় বিমানের সংখ্যা। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভি বলেন, "দিন দিন সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে এবং আমরা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হচ্ছি। এরকম অবস্থায় বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলি মার্চ মাস থেকে তাদের উড়ান সংখ্যা বাড়াবে বলে জানিয়েছে। একই সাথে সর্বাধিক বিমান চলাচলে আমাদের পুরানো যে রেকর্ড ছিল সেটা আমরা এপ্রিল মাস নাগাদ স্পর্শ করতে পারব। তখন দৈনিক বিমান চলাচল চারশোর গন্ডী ছাড়াবে বলে আমরা আশাবাদী।" ইন্ডিগোর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "বর্তমানে আমরা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৭৮ টি বিমানের মাধ্যমে ১৩০ টি বিমান পরিষেবা দৈনিক দিয়ে থাকি। মার্চে সংখ্যাটি বেড়ে ৯০ এর কাছাকাছি হবে। এপ্রিলে সংখ্যাটি ১১০ অতিক্রম করবে বলে আমারা আশাবাদী।"
advertisement
কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, মুম্বই বা পুনে যাওয়া নিয়ে আগে যে বিধিনিষেও ছিল এখন সেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই সব রুটে আগের মত সপ্তাহে সাতদিন বিমান চলাচল করার অনুমতি দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। যদিও বিমান সংস্থাগুলি মনে প্রাণে চাইলেও রাতারাতি যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে পারবে না।এজন্য কয়েক সপ্তাহ এমনকি এক মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিমান কর্তারা। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরিস্থিতি থাকলেও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিমান রুট চালু করছে বিভিন্ন সংস্থা। যেমন প্রতিদিন রাতে কলকাতা থেকে ব্যাংককের উদ্দ্যেশ্যে বিমান চলাচল করত ইন্ডিগোর। সেটা দীর্ঘদিন বন্ধ আছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে পুনরায় এই রুটে বিমান চলাচল চালু করছে সংস্থা। একই সাথে স্পাইসজেট ব্যাংকক-কলকাতার দৈনিক বিমান পরিষেবা খুব শীঘ্র চালু হবে বলেও বিমান সংস্থা সূত্রে জানিয়েছে।
Rudra Narayan Roy