রাজ্য জুড়েই করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী, তা সত্ত্বেও যে সব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেই এলাকা চিহ্নিত করে আলাদা করার প্রস্তুতি চলছে কনটেইনমেন্ট জোন করার। বারাসত সুবর্ণপত্তন এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে পৃথক করার প্রস্তুতি নিল জেলা প্রশাসন। পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার রাজ নারায়ন মুখার্জি। বারাসত পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড সুবর্ণপত্তন এলাকায় পরিদর্শনে আসেন পুলিশ সুপার।তিনি জানান, এই এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করে, দেখা হবে এই এলাকার কতজন মানুষের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে এবং যাদের এখনও পর্যন্ত টিকাকরন করা হয়নি তাদের তালিকা বানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ভ্যাকসিনেশন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। এর পরেই মধ্যমগ্রাম সাতনম্বর ওয়ার্ডের শরৎ কানন এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর পঙ্কজ চন্দ্র। তিনি জানান রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে করোনা যে হারে বেড়েছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত বেশী। তাই ছোট ছোট কনটেইনমেন্ট জোন করে সংক্রমণকে আরও নিম্নমুখী করা এবং বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
advertisement
আবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বীনাপানি হোম ও গুমা এলাকার কনটেইনমেন্ট জোন পরিদর্শনে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজ নারায়ন মুখার্জী।আপাতত কনটেইনমেন্ট জোন গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করেই করোনার সংক্রমণ এ লাগাম কানতে চাইছে প্রশাসন। আর সেই কাজে পুলিশ কে দিয়ে জোন গুলিতে বাড়তি নজর দারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলার প্রায় ছয়টি জায়গায় চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামীদিনে করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারের নির্দেশে এভাবেই ছোট ছোট মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করে সংক্রমনের রাশ টানতে সাহায্য করবে বলে আশা।
রাতুল ব্যানার্জি