উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) বনগাঁর পেট্রাপোল এলাকায় রাস্তার উপরে দিন যাপন করতেন ভারসাম্যহীন এক মহিলা। মহিলার নাম লক্ষ্মীদেবী। এলাকার ব্যবসায়ীরাই তাঁকে খাবারের জন্য অর্থ সাহায্য করত। একদিন সেই ভারসাম্যহীন মহিলাকে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর বাড়ি কোথায় এবং কে আছে তাঁর পরিবারের? সেই সময় সেই মহিলা আপন মনে বলে ফেলে সমস্তিপুর।
advertisement
তারপর গুগলের (Google) সাহায্যে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবারের খোঁজ শুরু করে ব্যবসায়ীরা। অনেক চেষ্টা করার পরেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই মহিলার পরিবারের। কবে কথায় আছে চেষ্টার ফল বিফলে যায় না। প্রায় দুই বছরের প্রচেষ্টায় খোঁজ পায় তাঁর পরিবারের।
বিহারের (Bihar) পীরপাইতি থানায় খবর পাঠানো হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার থেকে তার মেয়ে পূজা দেবী ও জামাই শঙ্কর রজক এদিন বনগাঁর পেট্রাপোলে এসে পৌঁছায় লক্ষ্মী দেবীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মেয়েকে কাছে পেয়ে হাতছাড়া করতে নারাজ মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা।
বিহারের (Bihar) ভাগলপুর জেলার নগাছিয়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা লক্ষ্মী দেবী দু'বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবার খোঁজ পায়নি লক্ষ্মী দেবীর। কিভাবে তিনি বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এসে পৌঁছলেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পেট্রাপোলের ব্যবসায়ী মোহন হালদার জানান, দুই বছরের প্রচেষ্টায় মেয়ের হাতে মা কে তুলে দিতে পেরে খুশি তাঁরা। আগামী দিনে এমন যদি কোনও ঘটনা ঘটে তারা আবারো এগিয়ে আসবে বলেও জানায়। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার (mentally disbalanced woman) জামাই শঙ্কর রজক জানিয়েছেন, এই এলাকার মানুষের কাজে আমরা খুশি , তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পরিবারের কাছের মানুষকে খুঁজে পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ তাঁদের কাছে।
রাতুল ব্যানার্জি