পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁয় জন্ম অরুণিতা-র। তার বাবা অবনী ভূষণ কাঞ্জিলাল একজন শিক্ষক এবং মা শ্রাবণী কাঞ্জিলাল ও দাদা অনিস কাঞ্জিলালকে নিয়ে তার পরিবার। মাত্র আট বছর বয়স থেকে গানে হাতে খড়ি। তার মায়ের প্রথম থেকেই গানের খুব শখ ছিল, আর সেই থেকেই শুরু অরুণিতার গান গাওয়া। অরুনিতার মামা হলেন মিউজিক টিচার৷ সেখানেই ছোট থেকে গান শিখতে শুরু করে অরুণিতা। বনগাঁর কুমুদিনী গার্লস হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এখন রীতিমতো স্টার।
advertisement
২০১৩ সালে বাংলার সবথেকে বড় মিউজিক রিয়েলিটি শো-এ মাত্র ১৩ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়ন হয় অরুণিতা। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের অনেক স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে একই মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছে সে। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আজ সারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে অরুণিতা কাঞ্জিলাল। সাম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মিউজিক রিয়েলিটি শো-এ ছয় ফাইনালিস্টদের মধ্যে রয়েছে সে। রবিবার ফাইনাল। আর তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে অরুনিতাই, বলছেন তার প্রতিবেশীরা।
বনগাঁর মানুষ এবং তার প্রতিবেশীদের মতে চ্যাম্পিয়ন হবে অরুণিতা-ই। তাদের মতে যেভাবে নিজের প্রতিভা দেখাচ্ছে অরুণিতা তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে তাকেই এগিয়ে রাখছেন তারা। প্রতিবেশীদের মতে, পাড়ার খুবই ভাল মেয়ে এবং অত্যন্ত পরিশ্রমী অরুনিতা। যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছে অরুণিতা সেখানে দাঁড়িয়ে অরুণিতা এই মঞ্চের চ্যাম্পিয়ন, মানছেন তারা। সারা পাড়া জুড়ে পোস্টারে ছেয়ে রয়েছে অরুনিতার। অনেকের মতে সারা দেশ তথা বনগাঁর মানুষের গর্ব। ফাইনালের আর কয়েক ঘণ্টা বাকি৷ বনগাঁ জুড়ে চলছে তার প্রচার এবং তারই সঙ্গে অরুণিতাকে সাপোর্ট করতে প্রচার করছে বনগাঁর মানুষেরা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই জানা যাবে কে হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন, তারই অপেক্ষায় সারা দেশ তথা বনগাঁর মানুষও।