তবে আমরা যে এক্কাগাড়ি দেখে অভ্যস্ত সেই এক্কা গাড়ির সাথে ফিরোজ বাবুর এক্কা গাড়ির পার্থক্য রয়েছে কিছুটা। তিনি অসুস্থ, পরিবারে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে সংসার। সংসারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে ব্যাক্তি। সংসার চালাতে তিনি বেছে নিয়েছেন রাস্তাঘাটে বোতোল ও প্লাস্টিক কুড়িয়ে বেড়ায়। সারাদিন এই সব জিনিসপত্র গুছিয়ে বাজারে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
advertisement
প্রথমে এই কাজ করতে পারলেও এখন আর শরীর চলে না। তাই তিনি বাধ্য হয়েই একটা ভাঙা ভ্যান রিক্সা কিনেছেন। কিন্তু ভ্যান চালানোর মতো ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তিনি নিজে বুদ্ধি খাটিয়ে নতুন এক্কাগাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন। একেবারে নতুন পদ্ধতির এক্কাগাড়ি। রিস্কার সাথে একটা বুড়ো ঘোড়াকে বেঁধে তিনি প্রতিদিন ৭০-৮০ কিমি পথ অতিক্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান বর্তমানে পেট্রল ডিজেলের দাম অনেক, আবার ব্যাটারী চালিত রিক্মা দাম অধিক হওয়ায় কেনার ক্ষমতা তার নেই। উপরন্তু ব্যাটারী চালিত রিকশার প্রতিদিন চার্জ দিতে হয়, কিন্তু তার বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। তাই তিনি নিজস্ব বুদ্ধি খাটিয়ে বানিয়ে নিয়েছেন নতুন এক্কাগাড়ী। এখন তার সংসারে অভাব থাকলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না এই এক্কা গাড়ির জন্য। তাইতো ফিরোজ বাবু ঘোড়ার নাম দিয়েছেন বদল।
এখন গ্রাম, ব্লক, পেরিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় কাজে বেড়িয়ে পড়েন। সকলেই ফিরোজ বাবুর এক্কা গাড়ীর প্রসংসা করেছেন। ফিরোজ কারো দান নিতে চাননা। নিজে গায়ে খেটে উপার্জন করেই চালাতে চান তার সংসার।
Mainak Debnath