সারি সারি দোকান পাট, সাথে ভক্তদের উচ্ছ্বাস থাকে রীতিমত চোখে পড়ার মতো। নবদ্বীপ থেকে ভাগীরথী নদীর জল বাঁকে করে খালি পায়ে আনুমানিক ৪০ কিলোমিটার বয়ে নিয়ে আসে পুণ্যার্থীরা। সেই জল নিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে ভক্তিভরে পুজো করেন তারা।
তবে বছর দুয়েক ধরে চিত্রটা থাকে অন্যরকম। গত বছরের ন্যায় এ বছরও শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণরূপে থাকবে বন্ধ। এমনটাই জানালেন মন্দিরের পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য্য। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে পূণ্যার্থীদের আগমন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন মন্দির কমিটি। করোনা মহামারীর জন্যই গত বছরের ন্যায় এ বছরও ১৬ আগস্ট শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার শ্রাবণী মেলা বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন তারা, সাংবাদিকদের ডেকে এমনটাই জানালেন স্বপন বাবু। তবে মন্দিরের নিত্যপূজো ও ভোগ বন্ধ থাকছে না। সেটি চলবে নিয়ম মতোই। শুধু বিরত থাকবে পূণ্যার্থীদের আগমন, এমনটাই জানালেন এই দিন তিনি।
advertisement
কোভিড ১৯ মহামারীর জন্য গত বছরের ন্যায় এ বছরও আগামী সোমবার ১৬ আগস্ট শিবনিবাস মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে, বলে এমনটাই মাইকে প্রচার করতে দেখা গেল কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনকে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় আছেন মন্দির প্রাঙ্গনের ছোট ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেক বছর এই শ্রাবণী মেলার দিকেই মুখ চেয়ে থাকেন তারা। মেলার দিনগুলিতে বেচাকেনা ভালো হয়, লাভের মুখ দেখেন তারা। কোভিড মহামারীর ফলে দীর্ঘদিন ধরে লাভের মুখ দেখতে পারেননি এলাকার অনেক ব্যবসায়ীরা। ফলে তাদের একমাত্র আশা ছিল এই শ্রাবণী মেলার ওপর। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে সেই আশাতেও বাধ্য হয়েই যবনিকা টেনে দিল কৃষ্ণগঞ্জ প্রশাসন।