এবারের পুর নির্বাচনে ভোট কর্মীদের ই-রিক্সা করে বুথে পৌঁছানোর বিষয়ে জেলা নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জানান, ই-রিক্সা পরিবেশ বান্ধব। জ্বালানির খরচ একেবারেই নেই। এছাড়াও ই -রিক্সা সহজেই শহরের ছোট সরু রাস্তা ও গলির রাস্তায় যাতায়াত করতে পারে। ভোট কর্মীদের সুবিধার জন্যই জেলা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মালদহ জেলার দুটি পুরসভায় একেবারেই পাশাপাশি অবস্থিত। ইংরেজবাজার শহরের মালদহ কলেজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৈরি হয়েছে ডিসিআরসি সেন্টার। মালদহ কলেজ থেকে পুরাতন মালদহ শহরের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। তাই এবারের ভোটে দুটি পুরসভার অধিকাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য ই- রিক্সার নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ভোট কর্মীদের পৌঁছানোর জন্য ১৯৮ টি ই- রিক্সা নেওয়া হয়েছে। পুরাতন মালদহ পুরসভার জন্য ১৪০ টি ই- রিক্সা রয়েছে (Malda News)। এছাড়াও পুরাতন মালদহ পুরসভার জন্য একটি বাস, একটি মিনিবাস ও একটি ম্যাক্সি ট্যাক্সি নেওয়া হয়েছে।
advertisement
জেলা সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, "দুটি পুরসভাই পাশাপাশি। শহরের সরু রাস্তা ও অলি গলির মধ্যে একাধিক ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। ভোট কর্মীদের সেই সমস্ত কেন্দ্রে সহজে পৌঁছানোর জন্য ই -রিক্সা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ই রিক্সা পরিবেশ বান্ধব। তাই ই রিক্সার উপরে গুরুত্ব দিয়েছি আমরা। ইংরেজবাজার ও ওল্ড মালদহ শহর মিলিয়ে মোট ৩৩৮ টি ই- রিক্সা নেওয়া হয়েছে। তিন দিনের জন্য ই-রিক্সা চালকদের নির্বাচন কমিশন ভাড়া করেছে। প্রত্যেক ই-রিক্সা চালককে ৫১০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ই-রিক্সার ভাড়া ভোটের পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। ই-রিক্সা চালক নিখিল পাল বলেন, "তিন দিনের জন্য আমাদের ই- রিক্সা ভাড়া নিয়েছে প্রশাসন। আমাদের তিন দিনের খাওয়ার খরচ ৫১০ টাকা করে দিয়েছে। ভোটের পর আমাদের ভাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।" (Malda News)
Harashit Singha