পরিবেশমঞ্চের সম্পাদক শুভ্রদ্বীপ ঘোষের কথায়, কয়েক বছর আগেও বছরের কেবলমাত্র দু তিনটি দিনেই হাওড়ায় দল বেঁধে আসতো শিকারিরা। চাঁদের গতিপথ দেখে ঠিক করতো শিকার উৎসবের দিনক্ষণ। যাতায়াতের পথ হিসেবে তারা বেছে নিতো রেলপথকে। শিকারিদের ছোটো দলগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ জন, বড়ো দলগুলিতে ৩০০ থেকে ৪০০ জন পর্যন্ত শিকারিরা থাকতো।
কিন্তু চলতি সময়ে শিকার উৎসব ছাড়াই যে কোনো কারণেই তারা হানা দিচ্ছে জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে। শুভ্রদ্বীপের ধারণা, মূলত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে সব শিকারিরা একজোট হয়ে বেড়িয়ে পড়ছে শিকারে।
advertisement
এই বছর লকডাউনের জেরে রেলপথ বন্ধ। তাই সড়কপথে জেলায় শিকারিদের প্রবেশ আটকাতে, প্রতিবেশী জেলা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশমঞ্চের সদস্যরা।
মঙ্গলবার আদিবাসীদের এই রকমই একটি শিকার উৎসবের খবর থাকায়, হাওড়ার আমতা, বাগনান উলুবেড়িয়াসহ গ্রামীণ হাওড়ায় মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার চালালো হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা।
পাশাপাশি শিকারি দেখলেই বনদপ্তরের বা, তাদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বন্যপ্রাণ রক্ষায় সচেতন নাগরিক হওয়ার আর্জিও জানালেন তারা। মঞ্চের সহ-সম্পাদক সম্রাট মন্ডল জানালেন, " জেলার বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করলে তবেই বেঁচে থাকবে হাওড়া জেলার বাস্তুতন্ত্র। আর এই কাজে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ বদ্ধপরিকর।"