জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে, মাঝরাস্তায় মৃত্যু হয় পান্ডাপাড়া সার্ফ মোড় এলাকার বাসিন্দা অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৪)। ঘটনায় পরিবারের লোকেরা আঙুল তুলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে।
পেশায় ফটোগ্রাফার অনির্বাণ, সোমবার কোভিড সংক্রমিত হয়ে ভর্তি হন কোভিড হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিসিইউতে (ccu) নিয়ে আসা হয় তাঁকে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাস্তাতেই প্রাণ হারান অনির্বাণ।
advertisement
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতি ও অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হয়েছে। অনির্বাণের স্ত্রী রীতিমত অভিযোগের তীর ছোড়েন স্বাস্থ্য দফতরের দিকে। কিন্তু, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি আগে থেকেই অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল। ফুসফুস তো খারাপ ছিলই। কোভিড মূলত ফুসফুসকেই আক্রমণ করে, ফলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল না। সেখান থেকে বলে দেওয়া হয়, কোনও টেস্টও করা যাবে না। অক্সিজেনের অভাবে রীতিমত আঁতকে উঠছিলেন রোগী (Jalpaiguri Death)। তবে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ এও যে, শিলিগুড়ি ঢোকার পথে গাড়িতে থাকা অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। হাসপাতালের বাইরেই অ্যাম্বুলেন্স রেখে পালিয়ে যায় চালক।
স্ত্রী ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চালককে বারবার অতিরিক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়ার কথা বললেও, নেয়নি সে। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরেই প্রাণ হারায় অনির্বাণ। এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, "বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কোনওদিক থেকেই লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে এটা জানি, মেডিকেলে কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।"
Vaskar Chakraborty