কলকাতা হাইকোর্ট লিগাল সার্ভিসেস কমিটির (Calcutta High Court Legal Services Committee) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সদস্য তথা আইনজীবী কুমার শান্তনু বলেন, 'সিবিআই ও ইডির মামলা খুব একটা এখানে নেই। তাই এবিষয়ে এখনও তেমন স্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি। সার্কিট বা হাই কোর্টে যে মামলাগুলো ফাইল হয় সেই প্রত্যেকটা মামলাই আর্জেন্ট হয়। সবকটাকেই গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। নির্দিষ্ট কোনও মামলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। সবই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কোভিডের আগে আমাদের শেষ সার্কিট হয়েছিল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। যে ফাইলগুলি আটকে ছিল, সেগুলি আগে দেখা হবে। সেগুলিকে এগিয়ে নিয়ে আসা হবে। এরপর যেগুলো নতুন ফাইলিং হয়েছে, সেগুলো নেওয়া হবে।'
advertisement
তিনি আরও বলেন, 'সার্কিট বেঞ্চে বেইল ম্যাটার (bail matter), অ্যান্টি বেইল ম্যাটার (anti-bail matter), অ্যাপিল ম্যাটার (appeal matter) এবং এছাড়া অন্যান্য সবই দরকারি। তবে এসবের সিদ্ধান্ত কোর্ট নেবে কোন ম্যাটার (matter) আগে যাবে কোনটা পরে যাবে।'
সার্কিট বেঞ্চে তরফে খবর, সমস্ত আইনজীবীদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কথা হয়েছিল এবং তাতে সিদ্ধান্ত হয় জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় কাজ শুরু করবে।
তিনি জানান, একটি ডিভিশন বেঞ্চ ও দুটি সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা শুনানি হবে। এখানে বসবেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজশেখর মান্ধা।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের (Jalpaiguri Bar Association) ভাইস প্রেসিডেন্ট (Vice President) আইনজীবী গৌতম পাল বলেন, 'প্রথমত একজন আইনজীবী (advocate) হিসেবে বলি যথেষ্ট ভালো লাগছে। এতদিন পর কোর্টের (Court) দরজা খুলে যাচ্ছে বলে। প্রায় ৭ মাসের কাছাকাছি বন্ধ ছিল বেঞ্চ। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে বহু মানুষকে। অবশেষে সেই দরজা খোলায় গোটা উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে যেমন এটা আনন্দের খবর, তেমনই আইনজীবী হিসেবেও আমরা খুশি।
গৌতমবাবু আরও বলেন, 'ইতিমধ্যে আন্দামান সার্কিট বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা (coronavirus) মহামারির জেরে দীর্ঘদিন ভার্চুয়ালি (virtually) মামলার শুনানি হয়েছে। ফের মামলা শুরু হওয়ায় যেমন আমরা খুশি তেমনি সমস্ত সরকারি নিয়মবিধি মেনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
ভাস্কর চক্রবর্তী