আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গ্যাংটকে(Siliguri news) ৫৯.৬ মিলিমিটার, টেডঙে ৫৮.৩ মিলিমিটার এবং শিলিগুড়িতে ১০৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ব্রীজের ভিত নড়ে গিয়েছে। মাটিগাড়া এলাকার সংযোগরক্ষাকারী বালাসন ব্রীজ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কালিঝোরা ও রংপোর মধ্যে ২ মাইল -এর কাছাকাছি, দুপুর থেকেই বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। এছাড়াও, তাকদাহ-তিনচুলা (Siliguri news)সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় নেমেছে ধস। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগামী দুদিনের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক-৫৫ খোলা রয়েছে যাতায়াতের জন্য। রোহিণীর কয়েকটি রাস্তাও খোলা রয়েছে।
advertisement
অপরদিকে জলমগ্ন রাস্তা এবং পাহাড়ি(Siliguri news) রাস্তায় ধসের জেরে আটকে পড়ে পর্যটকদের গাড়ি। অনেককেই আবার গাড়ির ভেতরেই রাত কাটাতে হয়। পুজো শেষ হতেই শীতের শুরুটা পাহাড়ে কাটাতে এসেছিলেন অনেকে। কিন্তু পাহাড়ে ঢুকতে না ঢুকতেই যেন বিপদ।
এদিকে জলপাইগুড়ির(Siliguri news) পাতকাটা এবং তিস্তা চর সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। তিস্তার জলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। জলপাইগুড়ি লাগোয়া বোয়ালমারি ব্লকে ইতিমধ্যেই ত্রান সামগ্রী পৌঁছে গিয়েছে।
এদিকে ময়নাগুড়ি ব্লকে প্রায় ৬০জন মহিলা এবং শিশুদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। নৌকায় চেপেও ইতিমধ্যেই এসেছেন অনেকে। গভীর রাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আগেই উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ (NDRF)। জলপাইগুড়ি (Siliguri news)জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, উদ্ধারকাজে চর এলাকা থেকে যত সম্ভব তত মানুষকে নিরাপদ স্থানে আনা হবে।
এদিন তিস্তার ফুঁসতে থাকা জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সদর ব্লকের মন্ডল ঘাট, কচুয়া, রায়পাড়া(Siliguri news) এবং পার মেখলিগঞ্জ এলাকার বেলতলী ঘাট সংলগ্ন তিস্তা নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের বাড়িঘর। এই অবস্থায় খাওয়া ভুলে শুধুমাত্র প্রাণ রক্ষার্থে বেরিয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে বাগডোগরা(Siliguri news) বিমামবন্দরের রানওয়েতে জল থাকায় বাতিল করা হয়েছে একাধিক উড়ান। মোট ১৮টি উড়ান বাতিল করা হয়। মঙ্গলবার ১৪টি বিমান চলাচল করে তবে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে।
Vaskar Chakraborty