আইএমএ (IMA)'য়ের শিলিগুড়ি শাখার দাবি, আতশবাজি পোড়ানো, মাস্ক না পরা বা শারীরিক দূরত্ব না মানার মতো ঘটনা ঘটলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। এদিন সংগঠনের তরফ শিলিগুড়ি শহরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি ডাঃ মলয় চক্রবর্তী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ শেখর চক্রবর্তী, সম্পাদক ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো, সহ-সম্পাদক ডাঃ উদয়ন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
এছাড়া উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (North Bengal Medical College and Hospital - NBMCH) প্যাথলজি (pathology) বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (associate professor) ডাঃ কল্যাণ খাঁ ও হিমালয়ান নেচার এন্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (Himalayan Nature and Adventure Foundation - HNAF) প্রতিষ্ঠাতা-কর্নধার অনিমেষ বসু উপস্থিত ছিলেন।
এদিন আইএমএ (IMA) শিলিগুড়ি শাখার সভাপতি (President) ডাঃ মলয় চক্রবর্তী বলেন, 'কোনও বাজিই পরিবেশবান্ধব নয়। দুর্গোৎসব গেল, দীপাবলির আনন্দে আত্মহারা আমরা সকলেই। এই মুহূর্তে একটি ক্ষুদ্র ভুল পদক্ষেপ আমাদের অনেক বড় মাশুল গুনতে বাধ্য করতে পারে। তাই শব্দবাজি না পোড়ানোর অনুরোধ করছি সকল নগরবৃন্দের কাছে।'
আইএমএ (IMA) শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক (Hony. Secretary) ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, 'শব্দবাজির জন্য শুধুমাত্র প্রাণীকূলের যে ক্ষতি হয় তা নয়, সম্পূর্ণ জীবকূলে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বহু মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস, কানে রিংগিং (ringing in the ears) এর মতো অসুবিধা থেকে ট্রমা অ্যাটাক (trauma attack) পর্যন্ত হতে দেখেছি। সব থেকে বড় কথা, এই শব্দবাজি থেকে যে কানের ক্ষতি তা শুধু নয়; অ্যালার্জি (allergy) যাদের রয়েছে তাদের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি শ্বাসকষ্ট (respiratory problems) পর্যন্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
একই সুর শোনা গেল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (North Bengal Medical College and Hospital - NBMCH) প্যাথলজি (pathology) বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (associate professor) ডাঃ কল্যাণ খাঁ'য়ের গলায়। তিনি বলেন, 'প্রশাসনিক তরফে যথেচ্ছভাবে নজরদারি করা হলেও, সামাজিক দিক থেকে আমাদের প্রত্যেককে সজাগ হতে হবে। করোনা (coronavirus) পরিস্থিতিতে গত বছরও বাজি পোড়ানোর বিরোধিতা করেছিলেন শহরের চিকিৎসকরা।
সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) পরিবেশবান্ধব বাজি (green crackers) পোড়ানোর ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাজি পোড়ানো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজি কখনওই পরিবেশবান্ধব হতে পারে না। বাজি থেকে দূষণ হবে। এই দূষণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনই করোনা সংক্রামিতদের বিপুল ক্ষতি হতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'শিলিগুড়ি গোটা উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যিক হাব (business hub)। সুতরাং বিদেশি আলো হোক, কিংবা শব্দবাজি। গোটা উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে যেতে পারে এই শিলিগুড়ি থেকেই।
বহু বাজি ব্যবসায়ী তোর শিলিগুড়ি থেকেই হোলসেল রেটে (wholesale rate) বাজি কিনে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় স্তরে বিক্রি করেন। এমতাবস্থায় যদি আমরা শিলিগুড়িবাসী নিজেদের বিবেক ও শুভবুদ্ধির পরিচয় দেই, তা নজির স্থাপন করবে বলে মনে করছি। পাশাপাশি আমি দীপাবলীর এই পুণ্যলগ্নে মা কালীর কাছে সকলের সুস্থতা কামনা করি। সেই সঙ্গে সকল নগরবাসীর কাছে অনুরোধ করছি আপনারা শব্দবাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন।'
Vaskar Chakraborty