অন্যদিকে হাওড়ার বেশিরভাগ পুজো - কমিটিগুলিই এই প্রশ্নের নেতিবাচক উত্তর খুঁজতে নারাজ । পুজো যখন হবেই , তাই খুঁটি পুজোতে দেরি কিসের ? এটা ভেবেই জেলার বেশ কয়েকটি বড় পুজো কমিটির খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হলো আজ এবং রবিবার । রবিবার শিবপুর মন্দিরতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব (Shibpur Mandirtala Sarbojanin Durgotsav Committee) কমিটি , ইছাপুর সংঘমিত্র ক্লাবের মত বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির খুঁটি পুজো আয়োজিত হয় । পাশাপাশি এদিন বি গার্ডেন এলাকার মধুসূদন দাস লেন - বাইলেন সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি - অধিবাসী বৃন্দের খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হল (khuti pujo) ।
advertisement
আরও পড়ুন Bengali News| Nadia: কৃষকদের জন্য চালু হল কৃষক স্পেশাল ট্রেন
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়িকা নন্দিতা চৌধুরীও (South Howrah MLA Nandita Chowdhury)। ঢাকের তালে , পুরোহিত মশাইয়ের ঘণ্টাধ্বনিতে , লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিহিত কমিটির মহিলা সদস্য ও অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে যেন দুর্গাপূজোর আবহই সৃষ্টি হয় খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে । পাশাপাশি এদিন বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষদান কর্মসূচিও পালন করেন ওই কমিটির সদস্যরা।
খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে এসে নিজের এলাকার সব পুজো কমিটিগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিধায়িকা নন্দিতা চৌধুরী । তিনি জানান , " মায়ের আগমণ সব সময়ই অত্যন্ত আনন্দের। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এক ভয়ঙ্কর প্যানডেমিকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি । তাই সবার উচিৎ পুজোর মধ্যে সমস্ত করোনাবিধিগুলি মেনে চলা (COVID19 protocal to be maintained in Durga Puja) । মাস্ক পরা ও নিজেদের মধ্যে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ববিধিগুলিও সর্বদা বজায় রাখতে হবে । হতে পারে হয়তো এই বছরে মায়ের আগমনেই শেষ হবে এই মারণ ভাইরাসের ক্ষমতা । "
প্রসঙ্গত খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন ও 40 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈকত চৌধুরী । হাওড়ায় জল জমা সমস্যার সমাধানের প্রশ্নে তিনি জানান , " পুজোর আগে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পুরসভার জলনিকাসি ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাট ঠিক করানোর বিষয়ে । আগামী একমাস এটাই পুরসভার প্রধান লক্ষ্য থাকবে । " তবে জল জমা সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানে এখনও অন্তত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি ।
শান্তনু চক্রবর্তী