বৃহস্পতিবার হাওড়ার আমতা ১ ব্লকের মুক্তিরচক এলাকার জঙ্গল এলাকায় এরকমই একদল শিকারিদের ঘুরে বেড়ানোর খবর আসে জেলার পরিবেশপ্রেমী সংগঠন হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের হেল্পলাইন নম্বরে । তৎক্ষণাৎ তাদের তরফ থেকে এই বিষয়ে দ্রুত যোগাযোগ করা হয় বনদপ্তর ও চন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়িতে । অতি দ্রুত সেই এলাকায় এসে শিকারিদের উদ্দেশ্যে খোঁজ শুরু করেন ওই পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় পরিবেশ প্রেমীরা । বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরাও এসে পৌঁছন সেই স্থানে। পরিবেশ মঞ্চের সম্পাদক শুভ্রদীপ ঘোষ স্থানীয় সূত্রে খোঁজ করে শিকারিদের গাড়িটির খোঁজ পান । সেই গাড়িতে তিনজন পশু শিকারিও উপস্থিত ছিল। তাদের বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয় । এরপর পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা এলাকার জলা জঙ্গলগুলিতে আরও শিকারিরা উপস্থিত আছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ লাগান।
advertisement
শিকারিদের খুঁজতে বনদপ্তর , পুলিশ ও পরিবেশ প্রেমীদের দীর্ঘক্ষণের এই দৌড়ঝাঁপ দেখে এলাকাবাসীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের । চাষীরা জানান বুনো শূকরের উৎপাত থেকে বাঁচতেই তারা ফোন করে শিকারীদের এই দলকে গ্রামে ডেকেছে শূকর শিকার করতে । পাশাপাশি বনদপ্তরের বিরুদ্ধে বুনো শুকরের উপদ্রব কমানোর ব্যাপারে কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না , সেই বিষয়ে প্রতিবাদও জানায় চাষিরা । পরে চন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জের উদ্যোগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয় । পুলিশ মোট ৩০ জনের শিকারির দলটিকে গ্রাম থেকে নিয়ে চলে আসে ও তাদের এইভাবে বন্যপ্রাণী শিকার করা যে বেআইনি সেই বিষয়টি ভাল করে বুঝিয়ে ছেড়ে দেয় ।
গ্রামীণ এলাকায় এই বুনো শুকরের সমস্যা সমাধানের জন্য বনদপ্তরের কাছে আবেদন জানান পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা । মঞ্চের সম্পাদক শুভ্রদ্বীপ ঘোষ জানান , " এলাকায় বুনো শুকরের উৎপাত কমলেই গ্রামবাসীদের শিকারীদের ডেকে আনার প্রবণতা কমবে । ফলে গ্রামীণ হাওড়ার বিপন্ন বন্যপ্রাণীরা শিকারিদের হাতে পড়ে নির্বিচারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। " পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সচেতন করতে ওই সংগঠনের তরফ থেকে এই বিষয়ে প্রচার অভিযানও চালানো হবে বলে জানান তিনি ।