আর এর জেরেই এই বছর রাজ্যে মাধ্যমিকের পাশাপাশি জয়জয়কার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও । 499 নম্বর পেয়ে রাজ্যে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মুর্শিদাবাদের ছাত্রী রুমানা সুলতানা । সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের মধ্যে প্রথম দশে রয়েছে মোট 86 জন পড়ুয়া ।
প্রতি জেলা থেকে অন্তত কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম 10 সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের মধ্যে থাকলেও হাওড়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি কিছুটা বেদনাদায়ক। রাজ্যে প্রথম 10 সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের মধ্যে হাওড়া থেকে রয়েছে মাত্র একজন । আন্দুলের মহিয়ারী কুণ্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের অঙ্কন চক্রবর্তী এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে জেলা থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে । প্রাপ্ত নম্বর 490 এর ভিত্তিতে সে রাজ্যে দশমে রয়েছে । এর আগেও 2019 সালের মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলো অঙ্কন। জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক হওয়ায় খুশির হাওয়া অঙ্কনের পরিবার - পরিজন , বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও আন্দুলের বাসিন্দাদের মধ্যে ।
advertisement
নিউজ ১৮ লোকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অঙ্কন জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা । সারাদিনে সব মিলিয়ে 12 - 13 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পড়তো অঙ্কন । অবসর সময়ে ছবি আঁকা ও বিভিন্ন রকম হাতের কাজ করাই ছিল তার হবি । অঙ্কন , নিজের এই সাফল্যের পিছনে কঠোর অধ্যবসায় এবং বিদ্যালয় ও প্রাইভেট শিক্ষকদের কৃতিত্ব কেই গুরুত্ব দিয়েছে । পাশাপাশি কোনো বিষয়ে আলাদা ভাবে নিজের বানানো নোটসকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সে । পাশাপাশি সে জানায় ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়ে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন তার । যদিও তেমন কোনো পরীক্ষা না দিয়েই মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় সেই আক্ষেপের কথাও জানালো সে । পরীক্ষা দিয়ে ভালো নম্বর পাওয়ার আনন্দটা না পাওয়ায় কিছুটা দুঃখিত আন্দুলের অঙ্কন । তবে তার এই কৃতিত্বে গর্বিত তার বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র থেকে শুরু করে শিক্ষকমন্ডলীরা ।