বন্যার পর গ্রামীণ এলাকায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ , সাপ , গোসাপ , গন্ধগকুল প্রভৃতির দেখা মিলছে প্রতি নিয়তই । তবে লোকালয় সংলগ্ন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করছে সাপেরা। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে কেউটে , চন্দ্রবোড়ার মতো তীক্ষ্ণ বিষধর সাপ , তেমনই রয়েছে দাঁড়াস , ঘরচিতির মতো বিষ বিহীন সাপও।
কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও রয়েছে অসচেতনতা ও সাপ সম্পর্কে আতঙ্কের ছবি। তাই এদের দেখলেই একযোগে মারতে উদ্যত হচ্ছেন সারা গ্রামের মানুষ। ফলে অনেক ক্ষেত্রে মাঠেই মারা যাচ্ছে বহুদিন ধরে বন্যপ্রাণী রক্ষায় হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ বা ওয়াইল্ডলাইফ অফ শ্যামপুর গ্রুপের সদস্যদের প্রচার।
advertisement
এই নিয়ে বেশ আক্ষেপের সুরেই ওয়াল্ড লাইফ অফ শ্যামপুর গ্রুপের সদস্য অর্পণ দাস জানান , " সাধারণ মানুষ জানে ঝাড়ুদার পাখি কাকে বলে । তারা এটাও জানে কোন মাছ কম এবং কোন মাছ বেশি আঁশযুক্ত । কিন্তু তাদেরকে কয়েকটি বিষ বিহীন সাপের নাম জিজ্ঞেস করলেই ভুরু কুচকায় । "
এর কারণ হিসেবে তিনি জানালেন , সাপ সম্পর্কে মানুষের কোনো আগ্রহই নেই । তারা জানেনা সুষ্ঠ বস্তুতন্ত্র রক্ষায় সাপের গুরুত্ব কতোটা। ছোটোবেলায় পাঠ্য বইয়ে সাপ বিষয়ে কোনো টপিক না থাকাকেও দুর্ভাগ্যজনক বলে জানালেন তিনি।
একই সুর নেচার গ্রিন নামক সংগঠনের সদস্যদেরও । তবে সংগঠনগুলির গ্রামীণ এলাকায় বারংবার প্রচারের ফলে মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছে বলেও জানালেন ওই গ্রুপের সদস্য সৌভিক দাস। তিনি জানালেন এখন অনেক ক্ষেত্রেই এলাকায় সাপ দেখা গেলে তাকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেখানকার শিক্ষিত স্থানীয় যুবকরা। তারা সাধারণ মানুষকে বোঝায় এদের না মারার জন্য। তারা ফোনও করে ওই সংগঠনগুলির হেল্পলাইন নম্বরে। পরে বনদপ্তরের সহযোগিতায় সেখানে গিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করে বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত এই সংগঠনগুলির সদস্যরা । বন্যপ্রাণী রক্ষায় আরো বেশি মাত্রায় প্রচারের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।
Santanu Chakraborty