TRENDING:

ভ্যাকসিন নিতে এসে বারবার ফিরতে হচ্ছে, চরম হয়রানির শিকার পাঁশকুড়ার বাসিন্দারা

Last Updated:

দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মিলছে না ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পাঁশকুড়া: পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ঘুরে যাচ্ছেন দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা উপভোক্তারা। পাঁশকুড়ার এক ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাসপাতাল থেকে তিনবার ফিরে গেলেন। দক্ষিণ মেচগ্রামের বাঁশতলা এলাকার দুই মহিলার দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা আজও পায়নি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। যা নিয়ে একপ্রকার সমস্যার সম্মুখীন পাঁশকুড়া (Panshkura) ব্লকের  সাধারন মানুষ।
advertisement

দক্ষিণ মেচগ্রামের বাসিন্দা শম্পা জানা বাগ অভিযোগ করে বলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিন পেরিয়ে একমাস হয়ে গেলো, ভ্যাকসিন পাচ্ছি না, স্লট বুকিং হচ্ছে না। আরেক উপভোক্তা মধুমিতা ঘোষ বাগ জানায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সঠিক সময় পার করে আজ ছয় দিন পেরিয়ে গেল, আতঙ্ক বোধ করছি যদিও এখনও পর্যন্ত শারীরিক সমস্যা নেই। আতঙ্কের মধ্যে থেকেও তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন দক্ষিণ মেচগ্রামের দুই গৃহবধূ।

advertisement

১৬ জুলাই শুক্রবার বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঁশকুড়া স্টেশন (Panshkura Railway Station) এলাকা থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য পীতপুরের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য আসে সবজি বিক্রেতা লক্ষ্মীকান্ত পাঁজা। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার রুমে নোটিশ ঝুলছে। নোটিশে লেখা রয়েছে কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাক্সিন (Covaxin) পর্যাপ্ত না থাকায় ভ্যাকসিনেশন বন্ধ থাকবে।

advertisement

লক্ষ্মীকান্ত পাঁজা বলে হাসপাতল থেকে দেওয়া প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আমাকে একটা কপি দেওয়া হয়েছিল সেই কপি কাগজে লেখা ছিল মে মাসের ২২ তারিখ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। কিন্তু এরপর কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ৪৩ দিনের পরিবর্তে ৮৪ দিন ব্যবধান বাড়ায়। তাই ঐদিন  আমাকে ৮৪ দিন পর আসতে বলা হয়। কিন্তু সেই ৮৪ দিন পর হাসাপাতালে এসে দেখেন ভ্যাক্সিন বন্ধের নোটিশ ঝুলছে, যাঁর ফলে বার বার ঘুরেও দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায় ঐ সবজি বিক্রেতা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডঃ সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, "গত দু'দিন ভ্যাকসিনের যোগান কম থাকায় দ্বিতীয় ডোজ অনেকেই পায়নি, ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকই ঘুরে যাচ্ছেন। তবে তাদের উদ্দেশে বলছি দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও একদিন বা একসপ্তাহ পার হলেও ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে, আর তাতে কোনও অসুবিধা নেই।"

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
ভ্যাকসিন নিতে এসে বারবার ফিরতে হচ্ছে, চরম হয়রানির শিকার পাঁশকুড়ার বাসিন্দারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল