পুজোর চারদিন কীভাবে কাটে এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার? অনুব্রত মণ্ডল জানান, 'খুব ভালোভাবেই পুজো কাটাই। মাকে ডাকি। এই কয়েকদিন পলিটিক্সের বাইরে। তবে হ্যাঁ, এই তৃণমূলের জয়ের জন্য অবশ্যই প্রার্থনা করি।' অন্যান্য বছর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রামের পুজো মহাষষ্ঠীর দিনেই যেতে দেখা যায়। সেদিন তিনি সেখানে গিয়ে হাজার হাজার মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন। তবে এ বছরে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান করেননি। কারণ হিসেবে বলেন, 'প্রচুর লোকজনের ভিড় হয় কোনও অনুষ্ঠান করলে। তাই এ বছর বন্ধ রেখেছি। কারণ আমি করলেই পাঁচটা লোক বলবে, এটা কী ব্যাপার! ওই জন্যই আমি এটা করলাম না।'
advertisement
মহাসপ্তমীর দিন গ্রামে গিয়ে মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলী দেন অনুব্রত মণ্ডল। এ বারেও ব্যতিক্রম হবে না তার। প্রসাদও খাবেন পুজো শেষে। পাশাপাশি গ্রামেই হবে খাওয়া-দাওয়া পুজো দেখা এবং আনন্দ হুল্লোড়। পরে সন্ধ্যাবেলায় বোলপুরের বাড়িতে ফিরে আসবেন। এই ভাবেই মহাষ্টমী মহানবমী এবং বিজয়া দশমীতে বোলপুর থেকে হাটসেরান্দি এবং হাটসেরান্দি থেকে বোলপুর যাতায়াত করবেন।
অন্যদিকে, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'মায়ের কাছে অনেক কিছু চাওয়ার আছে, মায়ের কাছে অনেক কিছু জানার আছে। তবে মাকে ডাকলে সবকিছু পাওয়া যায়। আগেরবারের মাকে বলেছিলাম তোমাকে একটা সোনার মুকুট দেব। একুশে বিধানসভায় জোয় এসেছে। তাই এ বারে মাকে ২৫ ভরির সোনার মুকুট দেব। আবার ২৪-র জন্য চাইব। মা যদি দেয়, মাকেও দিয়ে দেব।'
মন্দিরের পুরোহিত দেবব্রত রায় জানিয়েছেন, 'উনি (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল) যখন আসেন তখন একেবারে সাধারণ মানুষের মতোই ঘোরাফেরা করেন। সাধারণ মানুষের মতোই সকলের সঙ্গে মেলামেশা করেন। মনোযোগ সহকারে পুষ্পাঞ্জলী দেন। তার মধ্যে কোনওরকম নেতা অথবা এমন ভিআইপি মানুষের মত হাবভাব লক্ষ্য করা যায় না।"
মাধব দাস