রাজ্যে নতুন আতঙ্ক বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। ইতিমধ্যে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে বাজপড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বসিরহাট দু, নম্বর ব্লকে মাটিয়া থানার চৈতা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাদিক নগর গ্রাম এ বছর ৫০- এর রিয়াজ উদ্দিন মন্ডল গত রবিবার ছয় জুন বিকেল বেলায় বাড়ির বারান্দায় বসে মাছের জাল বুনছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে। দুস্থ পরিবারের একমাত্র রোজগারের সম্বল ছিল রিয়াজউদ্দিন। তার মৃত্যুতে গোটা পরিবার অসহায় ও হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে।
advertisement
তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বসিরহাট উত্তর বিধান সভার চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ রনির সঙ্গে স্থানীয় নেতারা মৃতের পরিবারের যান। পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক ও নগদ অর্থ তুলে দেন তাঁরা। তার পাশাপাশি মৃত পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ার সম্পূর্ণ খরচ রাজ্য সরকার দেবে বলে আশ্বাস দেন দুই মন্ত্রী।
ইতিমধ্যে কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ মেশিন বসানো হয়েছে। ধাপে ধাপে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে এই যন্ত্র। এছাড়াও মানুষকে সতর্ক ও সচেতনতার বার্তা দেন তাঁরা। মন্ত্রীরা জানান বজ্রপাত শুরু হলে নিরাপদ স্থানে চলে যাবেন, গাছ তলায় থাকবেন না । জল থেকে দূরে থাকুন। কোনো পাকা বাড়ির নিচে থাকবেন। আগামী কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত সমেত বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সে কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছে। যাতে কোন মানুষ অসুবিধায় না পড়ে তার ব্যবস্থাও নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাতুল ব্যানার্জি