বিজ্ঞানীদের মধ্যেও এই বিষয়ে দ্বিমত সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী দাবি করছেন ভারতবর্ষের করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে। আবার অনেকে বলছেন, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই দেশজুড়ে আছড়ে পড়বে মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ।
তাই করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সচেতন হাওড়া জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ব্যাপী লকডাউনের জেরে, জেলার দৈনিক সংক্রমণ ১৩০০ থেকে সোজা ১০০ এরও নিচে নেমে আসার পরেও বসে নেই প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
advertisement
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা মহামারীর বিধিনিষেধ ১৫ই জুলাই অবধি ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, সংক্রমণ রুখতে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে বিভিন্ন থানার অন্তর্গত দোকান বাজার গুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে তাদের ব্যবসায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে জানাচ্ছেন জেলার বাজার বিক্রেতা ও দোকানদাররা। তাদের বেশিরভাগেরই দাবি, একটানা বন্ধ রাখার চেয়ে সপ্তাহে একদিন করে বাজারগুলি বন্ধ রাখলেই তাদের ক্ষতির মুখ দেখতে হবে না।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া স্টেশন অঞ্চলের এক ফল বিক্রেতা জানান, "আমি এখানেই ট্রলি করে ফল বিক্রি করি। যেদিন আমার এলাকায় বাজার দোকান বন্ধ থাকবে, ঠিক করেছি তার আগের দিন কম জিনিসপত্র তুলব। বাকি যদি কিছু বেঁচে যায়, তা অন্য থানার অন্তর্গত এলাকায় খুব সহজেই বিক্রি হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।"
তবে এলাকায় বাজার দোকান বন্ধের আগের দিন কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারে জিনিস কেনার ভিড়। যদিও এই বিষয়ে বাজারগুলিতে এখনো সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে। জেলার করোনা পরিস্থিতির উপর এই নতুন নিয়ম কতটা কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার।