ভট্টাচার্য্য বাড়ির এই দূর্গাপুজো (Bengal news, Birbhum) সম্পর্কে জানা যায়, এলাকার জমিদার ছিলেন জয়চন্দ্র ঘোষ। তিনি প্রথম এই দুর্গাপুজোর আরাধনা শুরু করেন। তাদের পরিবারের এই পুজো তান্ত্রিক মতে শুরু হয়। তিনি এই পুজোর দায়িত্বভার দেন রামপুরহাটের কালুয়া গ্রামের তন্ত্রসাধক চতুর্ভুজ ভট্টাচার্য্য গোস্বামীকে। তারপর থেকেই এই ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আসছেন এবং বর্তমানে এই পুজো ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো হিসেবে পরিগণিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন Pujo spl : দশভূজা নন, বীরভূমের মহঃবাজারের বেনেপাড়ার দেবী দুর্গা চতুর্ভূজা
শালদহা গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে একটি কালীমন্দির। সেই কালীমন্দির হল ভদ্রাকালী মন্দির। ওই কালীমন্দিরে প্রতিদিন ভদ্রাকালী পূজো হয়ে থাকে এবং পুজো শেষে ভদ্রাকালী শয়নে যান। কিন্তু ভট্টাচার্য্য পরিবারের এই দুর্গাপুজোয় তাকে আনা হয় দেবী দুর্গার পাহারা দেওয়ার জন্য। যে কারণে দুর্গাপুজোর চার দিন ভদ্রাকালী শয়নে যান না। আপদে-বিপদে তিনি সারাবছর গ্রামকে রক্ষা করার পাশাপাশি চারদিন দেবী দুর্গার পাহারায় থাকেন। গ্রামবাসীদের এই বিশ্বাস ধরেই এখানে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021) হয়ে আসছে।
ভট্টাচার্য্য পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে চতুর্থীর দিন থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। তবে মূল পুজো শুরু হয় মহাসপ্তমীর (Durga Puja, Bengal) দিন সকাল থেকে। মহাসপ্তমী দিন সকালে মহাসমারোহে দোলা আনা হয়। দোলা আনার সঙ্গে সঙ্গেই আনা হয় ভদ্রাকালীকে। বিজয়া দশমীর দিন দোলা বিসর্জনের পাশাপাশি ভদ্রাকালীকে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ভট্টাচার্য্য পরিবারের এই পুজো শাক্ত মতে হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর ক্ষেত্রে আগে যে বলিদান প্রথা ছিল বর্তমানে সেই বলিদান প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে।
মাধব দাস