চলতি বছর সাত সেপ্টেম্বর পড়েছে কৌশিকী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে তারাপীঠ প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও ভক্তদের আগমন ঘটে থাকে। তবে এই করোনাকালে এত ভক্তের সমাগম কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর মাসের তিন তারিখ থেকে আট তারিখ পর্যন্ত তারাপীঠ মন্দির সাধারণ ভক্তদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই কয়েকটা দিন মন্দির বন্ধ থাকলেও রীতি অনুসারে মন্দিরের সেবায়েতরা তারা মায়ের পূজার্চনা করবেন।
advertisement
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "করোনা এখনো চলে যায়নি। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। এমত অবস্থায় কৌশিকী অমাবস্যার আগে এবং পরে রাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সর্বসম্মতভাবে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, "সকলের সাথে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর মাসের তিন তারিখ থেকে আট তারিখ পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বর্ডার এলাকায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
কৌশিকী অমাবস্যায় সাধারণ সময়ে তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। এই দিন ভক্তরা আসেন তারাপীঠের মত শক্তিপীঠ সিদ্ধিলাভের আকাঙ্ক্ষায়। তবে করোনাকালে গত বছরও কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন এবং তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা। আর এবছরও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী, বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর তথা লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা পরিষদ সভাপতি তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।