বোলপুর শহরের জমায়িত আবর্জনা তুলে ফেলা হয় শহরের অন্য এক প্রান্তে সিয়ান হাসপাতাল থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায়। কিন্তু দেখতে দেখতে এই আবর্জনা এমন আকার ধারণ করেছে যা দৃষ্টিকটু হয়ে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের স্বাস্থ্য নিয়েও দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। সেই জায়গার এই বিশাল আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্যই এই মেশিন বসানো হয়েছে। মেশিন বসানোর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। পৌরসভার স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্টের দাবি, আগামী এক বছরের মধ্যে ওই জায়গার চেহারা বদলে যাবে।
advertisement
জমা হওয়া আবর্জনার জায়গায় একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন বসানো হয়েছে। যে মেশিনটি কয়েকজন শ্রমিকের সমান কাজ করবে। মেশিনটির কাজ হল আবর্জনা থেকে পচনশীল এবং অপচনশীল দুই ধরনের বস্তুকে আলাদা করা। পচনশীল বস্তুকে জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়েছে এবং অপচনশীল বস্তুগুলির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে যেমন পরিবেশ আবর্জনামুক্ত হচ্ছে ঠিক তেমনই জৈব সারের ঘাটতিও কমছে।
বোলপুর পৌরসভার প্রশাসক পর্ণা ঘোষ জানিয়েছেন, "শহরের মানুষের থেকে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা নিয়ে অভিযোগ শোনার পর আমরা এই মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। তারপরেই এই মেশিন বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেশিনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।"
বোলপুর পৌরসভার স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুদীপ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, "বোলপুরের ভাগাড় বোলপুরের বাসিন্দাদের কাছে দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা দূর করার জন্য আমরা এই মেশিন বসিয়েছি। এই মেশিনের কাজ হল পচনশীল এবং অপচনশীল বস্তুকে আলাদা করা। পচনশীল বস্তুকে আমরা সার হিসাবে কাজে লাগাচ্ছি। আগামী এক বছরের মধ্যে ওই জায়গার অর্থাৎ ভাগাড়ের রূপ বদলে যাবে।"
বীরভুমের বোলপুর শহরে এমন অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হতেই বোলপুরের বাসিন্দারা তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন বলেই মনে করছেন। আশা করছেন অদূর ভবিষ্যতে আর এমন সমস্যা হবে না।
মাধব দাস