একটা সময় ছিল যখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকেও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের সমাগম হতো এই তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরে। বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে ঘিরে গিজগিজ করত পুরো এলাকা। তবে পরিস্থিতির চাপে পড়ে এখন পূণ্যার্থীদের ভিড় থিকথিক করছে। তাহলেও ধীরে ধীরে এই পূণ্যার্থীদের আগমন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্য এবং এই তারাপীঠকে কেন্দ্র করে যে সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা ক্ষেত্র গড়ে তুলেছেন তারাও আশার আলো দেখছেন।
advertisement
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চ্যাট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "মানুষ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এখন সংক্রমণ কিছুটা কমায় সেই আতঙ্ক দূর হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটছে। সকলেই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা মায়ের দর্শন করছেন। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটছে ঠিক তেমনই বিভিন্ন রাজ্য যেমন বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও পুণ্যার্থীরা আসছেন।"
বীরভূম জেলা প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী বর্তমানে তারাপীঠ মন্দিরে প্রবেশ অথবা হোটেলে থাকার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। এসকল তীর্থক্ষেত্রগুলিতে আসার আগে নির্দিষ্ট সরকারি ক্যাম্পে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং সেই করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে অথবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন এমন পুণ্যার্থীরাই প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরে।
কলকাতার পাইকপাড়া থেকে আগত এক পূর্ণার্থী প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, "আগের মত ভিড় তারাপীঠে এখন আর নেই। তবে ধীরে ধীরে পূণ্যার্থীদের আগমন বাড়ছে এটাই শুনতে পাচ্ছি। পাশাপাশি মাস্ক এবং অন্যান্য বিধি মেনেই মন্দিরে পুজো দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজা দেওয়াটা আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গল।"