গত ১৮ জুলাই সিউড়ির হাটজান বাজার এলাকার রঞ্জন পাল নামে এক যুবকের হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর ওই যুবক সিউড়ির একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে যান এবং সেখানে চিকিৎসা করান। চিকিৎসার জন্য ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক চিকিৎসক তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সেইমতো রঞ্জন পাল ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের পরামর্শ মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরপর যে রিপোর্ট দেওয়া হয় তাতে বলা হয় কোনও অসুবিধে নেই তার। সেখান থেকে সমস্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে রঞ্জন পাল বাড়ি চলে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন - সবুজ রঙ, লাল ঠোঁটের দুটি টিয়া! জন্মদিনে এলাহি ভোজ, কেক থেকে লুচি, রইল ভিডিও
এরপর ঠিক পাঁচ দিনের মধ্যে পুনরায় তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। পেটে ব্যথা নিয়ে রঞ্জন পাল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, পুনরায় অন্য কোনও ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর জন্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রঞ্জন পাল সিউড়ির অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার হার্নিয়া ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন - Skin Care Tips: মুখ হবে চাঁদের মতো উজ্জ্বল, থাকবে না একটা দাগও!
দুই জায়গায় দু'রকম রিপোর্ট এবং শেষ যে ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানো হয় সেই রিপোর্টকে চিকিৎসকরা মান্যতা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রঞ্জন পাল পুনরায় প্রথম যেখানে পরীক্ষা করানো হয়েছিল সেখানে যান এবং তাদের কাছে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য টাকা ফেরতের দাবি করেন। তবে অভিযোগ সেই সময় ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রঞ্জন পাল বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িকে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগ পেয়ে হিমাদ্রি আড়ি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনও ত্রুটি পাওয়া যায় তাহলে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
Madhab Das