অন্যদিকে চলতি বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে। মেধা তালিকা প্রকাশিত না হলেও ৮৬ জনের একটি তালিকা সামনে এসেছে, যে তালিকাটি হলো প্রথম দশের। এই প্রথম দশ জনের পাঁচ জন বীরভূমের পড়ুয়া।
চলতি বছর বীরভূমে মোট উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ২৮,৩০১ জন। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা হল ১২,৬৯০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা হল ১৫,৬১১ জন। এদের মধ্যে পাশ করেছেন ২৭,৮৯৪ জন। পাশের দিক দিয়ে ছাত্রদের সংখ্যা ১২,৫১২ এবং ছাত্রীদের সংখ্যা ১৫,৩৮২। জেলায় শতকরা পাসের হার ৯৭.৫৬ শতাংশ, যা রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশি।
advertisement
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বীরভূমের যে পাঁচজন পড়ুয়া প্রথম দশে রয়েছেন তারা হলেন সাবর্ণী চ্যাটার্জী, বঙ্গাব্দ দাস, সৌরভ নন্দী, পুষ্পল হাজরা, সপ্তর্ষি মণ্ডল।
সাবর্ণী চ্যাটার্জী রামপুরহাটের ধুলাডাঙ্গা রোডের বাসিন্দা। সে রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৪৯৮।
বঙ্গাব্দ দাস রামপুরহাটের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী পার্ক পূর্বের বাসিন্দা। সে রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৪৯৮।
সৌরভ নন্দী মুরারই ব্লকের বালিয়া পালসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে মুরারই এ.কে. ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৪৯৭।
পুষ্পল হাজরা সিউড়ির পশ্চিম লালকুঠি পাড়ার বাসিন্দা। সে বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৪৯২।
সপ্তর্ষি মণ্ডল দুবরাজপুরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সপ্তর্ষি দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৪৯০।
তবে বীরভূমের এই সকল পড়ুয়ারা এই বিপুল সংখ্যক নম্বর পেলেও তাদের এবং তাদের অভিভাবকরা দাবি করেছেন, \'যদি এই নম্বর পরীক্ষা দিয়ে পাওয়া যেত তাহলে আরও বেশি খুশি হতাম\'।