আরও পড়ুন Durga Puja 2021: মহানবমীর একপক্ষ কাল আগে থেকেই দুর্গাপুজো শুরু বালিজুড়ি গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারে
রায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের এই পুজোর বয়স কমপক্ষে ৫৫৫ বছর (Traditional Durga Puja)। বোধনেশ্বরীতে মায়ের ঘট আনা হয় যমুনা সায়র থেকে। এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেছেন একজন সাধক। তারপর থেকেই ওই সাধকের প্রতিষ্ঠা পুজোর রীতি মেনে বছরের পর বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। পুজোর সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকার বাসিন্দারা এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে গত দু'বছর ধরে করোনা সংক্রমণের জন্য সেই আনন্দেই কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।
advertisement
পরিবারের সদস্য চন্ডী প্রসাদ রায় জানিয়েছেন, "পুজোর প্রতিষ্ঠার সময় আমাদের বংশে দু’জন মহাপুরুষ ছিলেন। একজন হলেই জিৎ বাহন রায় এবং অন্যজন হলেন হীরারাম রায়। সাধকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পুজোর পর তাদের হাত ধরেই বংশপরম্পরায় এই পুজো চলে আসছে।"
আরও পড়ুন Durga Puja 2021| Puja Travel : উইকেন্ডে পুজোর ছুটিতে মাছ ধরা, রান্না করার মজা নলবুনি ইকো পার্কে
এই পুজোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে চন্ডী প্রসাদ রায় জানিয়েছেন, "বোধনের দিন, মহা সপ্তমীর দিন এবং মহাষ্টমীর দিন বলিদান হয়ে থাকে। মহাষ্টমীর (Durga Puja Ashtami) দিন এই মন্দিরে বলিদান না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী কোন গ্রামের বলিদান হয় না। মহা নবমীর দিন ছাগ বলির ছাড়াও চাল কুমড়ো বলি, আখ বলি হয়ে থাকে। বিজয়া দশমীর (Durga Puja Bijaya Dashami) দিনেই মায়ের বাড়ি বিসর্জন হওয়ার পাশাপাশি সেই দিনই রাতে প্রতিমা বিসর্জনের রীতি রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় বাজি এবং বাদ্যযন্ত্র সহকারে নিরঞ্জন হয়ে থাকে।"
বীরভূমের ঐতিহ্যবাহী (Birbhum Durga Puja 2021) যেসব দুর্গাপুজো রয়েছে তার মধ্যে দুবরাজপুর ব্লকের এই বালিজুড়ি গ্রামের দুর্গাপুজো অন্যতম। পাশাপাশি এই দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য ছাড়াও রয়েছে ওই রায় পরিবারের আলাদা গুরুত্ব। যে কারণে গ্রামের নাম বালিজুড়ি হলেও তা রায় বালিজুড়ি নামে পরিণত হয়েছে।
মাধব দাস






