'চপ শিল্প' নামের এই দোকানটি উদ্বোধন হওয়ার পর নামের দৌলতে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এমন দাবিও করতে দেখা গিয়েছিল ওই যুবককে। পাশাপাশি ওই যুবক নামের পাশাপাশি অন্যান্য দোকানের তুলনায় গুণগত মানের বিচারে গ্রাহকদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করার কথাও জানিয়েছিলেন। আর এই গুণগত মান বজায় রাখতে গিয়ে তার এই দোকান বন্ধ হয়ে করতে হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
'চপ শিল্প' নামের সিউড়ির এই তেলেভাজার দোকানটি উদ্বোধন হওয়ার পর মাসখানেকের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এই বিষয়ে প্রতিবেশী দোকানদারেরা জানিয়েছেন, "দোকানটি উদ্বোধন হওয়ার পর প্রথম দিকে বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ ওই যুবক দোকানটি বন্ধ করে দেয়।"
দোকান বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসাবে আফতাব উদ্দিন খান জানিয়েছেন, "আমার দোকানের জনপ্রিয়তা প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু আমি এই দোকান চালিয়ে কারিগরের খরচ, দোকানের খরচ যোগাতে পারছিলাম না। বেশ কয়েকদিন লোকসানে চলার পর সিদ্ধান্ত নিই দোকান বন্ধ করে দেওয়ার।"
কিন্তু কেন জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও খরচ তুলতে পারছিলেন না ওই যুবক? এর পরিপ্রেক্ষিতে আফতাব উদ্দিন খান জানিয়েছেন, "যেভাবে দিন দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সেই দামের সাথে গুণগত মান বজায় রাখতে গিয়ে আমি লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিলাম। বেকার হাওয়াই সেরকম পুঁজি না থাকায় বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে দিই।"
জানা গিয়েছে, বর্তমানে 'চপ শিল্প' দোকানের ওই মালিক অন্য দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। তবে তিনি তার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে কেবলমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন, 'সরকারি কোনরকম সাহায্য পেলেই আমি 'চপ শিল্প' কাকে বলে করে দেখাবো।' অন্যদিকে রাতারাতি সিউড়িতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই 'চপ শিল্প' তেলেভাজার দোকান হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ এলাকার বাসিন্দারা।






