বর্তমান যুগে যেমন ডিজিটাল লেনদেন দিনদিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এমন প্রতারণার মতো ঘটনা। তবে এই সকল প্রতারণায় পড়ে যাতে জেলার বাসিন্দারা সর্বস্বান্ত না হয়ে পড়েন তার জন্য সদা সচেষ্ট বীরভূম জেলা পুলিশের সাইবার পুলিশ। তারাই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাপকদের হাতে ফিরিয়ে দিলেন। পাশাপাশি তারা সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল খুললেন। প্রতারিত হওয়া টাকা ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রতারিতরা।
advertisement
এদিন ২০ লক্ষ টাকার বেশি ফিরিয়ে দিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, \"অপারেশন ই-প্রাপ্তি নামে আমরা একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০-২০২১ সালের মধ্যে যে সকল ব্যক্তিরা ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হন তাদের মধ্যে আজ ৩৫ জনকে তাদের হারানো যাওয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই সময়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার মতো ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকার বেশি আমরা উদ্ধার করে আসল প্রাপকদের হাতে ফিরিয়ে দিলাম।\"
অন্যদিকে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সচেতনতা বাড়াতে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার কথা জানান। যে ইউটিউব চ্যানেলটি বীরভূম জেলা পুলিশ এবং বীরভূম জেলা সাইবার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, \"এইসকল যে সংখ্যক মানুষেরা প্রতারিত হয়েছেন তাদের কেস স্টাডি করে আমরা আজ একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলছি। যাতে করে ওই ইউটিউব চ্যানেল দেখে সাধারণ মানুষ সচেতন হতে পারেন। ওই চ্যানেলের মধ্যে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে কিভাবে এমন প্রতারণার ঘটনা এড়ানো সম্ভব সেই সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও থাকবে।\"
এদিন এই অনুষ্ঠান থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ফেরত পেয়ে বেজায় খুশি দীনবন্ধু দে নামের এক বাসিন্দা। তিনি জানান, \"একটি টেলিকম সংস্থার টাওয়ার তৈরি করে দেওয়ার নাম করে ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা। গত তিন মাস আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। আমি সেই টাকার সম্পূর্ণটাই ফেরত পেয়েছি। বীরভূম জেলা সাইবার পুলিশ আমার পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ।\"