করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে বীরভূমে হু হু করে বাড়তে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। এক এক দিন এই সংখ্যাটা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, হাজারের কাছাকাছি, যা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল জেলা প্রশাসনের। তবে সম্প্রতি আক্রান্তের সেই গ্রাফ অনেকটাই কমেছে। এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২০ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ২২৮। তবে জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য হলো জেলাকে করোনা মুক্ত করা।
advertisement
আর এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সম্প্রতি বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি এবং রবীন্দ্রনাথ প্রধানের সাথে আলোচনা করে নয়টি জায়গাকে চিহ্নিত করেন কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করার। এই নয়টি জায়গার মধ্যে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় সাতটি এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় দুটি জায়গাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করার পরেই কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে শুক্রবার থেকেই।
বীরভূমের যে নয়টি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল, বোলপুরের বিবেকানন্দ পল্লী, কালিকাপুর, শুড়িপাড়া। দুবরাজপুরের এক নম্বর ওয়ার্ড। ইলামবাজার। কীর্ণাহারের কালিনগর। সিউড়ির সমন্বয় পল্লী। মুরারই ব্লকের মুরারই পঞ্চায়েতের নতুন বাজার এবং রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চিহ্নিত করা এই সকল এলাকাগুলিতে এলাকার বাসিন্দাদের কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। কঠোর বিধিনিষেধ হিসাবে বলা হয়েছে কোন বাড়িতে যদি একজন রোগী ধরা পড়েন সে ক্ষেত্রে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়াও ওই এলাকার বাসিন্দাদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।