টোটোতে করে খাবার নিয়ে চলে আসেন শিলিগুড়ির শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। শুরুতে এসেছিল বাড়তি চাপ। কোভিডের মোকাবিলায় যখন ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা, তখন বিভিন্ন জায়গায় রাতদিন ছুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা এসেছিল পরিবার পরিজনদের থেকেই। আর এমন বাধা আসাটাই স্বাভাবিক! হু হু করে বাড়ছিল সংক্রমণের গ্রাফ। সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু দমানো যায়নি জয়ীতা-সোনাই-দীপক-দিশাদের। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে নেমেছেন যে তাঁরা।
advertisement
সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদিকা জয়ীতা সেনগুপ্ত দত্ত বলেন, 'আমাদের সংস্থাটি সম্পূর্ণ ভারতীয় সেনা দ্বারা পরিচালিত। আমরা রক্তদান থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাই। এমনকি অভুক্তদের; তা কোভিড রোগীই হোক না কেন, তাঁদের হাতেও রান্না করা খাবার নিয়ম করে তুলে দিচ্ছি। সেই উদ্যোগের নাম আপনা রসুই। নামেই যৌক্তিকতা রয়েছে। সকলে যেন নিজের (আপনা) মনে করে এই রসুই থেকে উপকৃত হয়, এটাই লক্ষ্য।'
জয়ীতাদেবী আরও জানান, অনেকেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। কিন্তু যে রক্ত গ্রুপের চাহিদা বেশি অর্থাৎ নেগেটিভ রক্তের তাঁরা সচেতনতার মাধ্যমে সেইসব রক্তের যোগানের চেষ্টা করে চলেছেন। সম্প্রতি বিএসএনএলের অস্থায়ী কর্মচারী পরিবারগুলির হাতে চাল, ডাল, তেল, নুন, মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের মশলা ও ডিম সমেত ১৫ দিনের রেশন তুলে দেওয়া হয়।
কেউ থাকেন হাকিমপাড়ায় তো কেউ থাকেন নকশালবাড়ি এলাকায়। কেউ মিলনপল্লী তো কেউ তুম্বাজোত এলাকায়। সকলের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে আপনা রসই। দফায় দফায় কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে চলছে আপনা রসইয়ের লড়াইও। এদিকে শহরে শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে পাশে পেয়ে খুশি সাধারণ থেকে রোগীর পরিজনরা।