TRENDING:

'আপনা রসই' থেকে 'ক্ষণিকের আত্মীয়'! সবেতেই এগিয়ে শিলিগুড়ি অ্যান্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি

Last Updated:

জয়ীতা সেনগুপ্ত দত্ত, সোনাই চৌধুরী, দীপক চৌধুরী, দিশা মিত্র। সাদামাটা জীবন। কেউ সংসার সামলায় আবার কেউ সমাজসেবায় নিজেকে ডুবিয়েছে। আবার কেউ সাংবাদিকও!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: জয়ীতা সেনগুপ্ত দত্ত, সোনাই চৌধুরী, দীপক চৌধুরী, দিশা মিত্র। সাদামাটা জীবন। কেউ সংসার সামলায় আবার কেউ সমাজসেবায় নিজেকে ডুবিয়েছে। আবার কেউ সাংবাদিকও! এঁরা শিলিগুড়ি এণ্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি; এঁরাই এখন শহরজুড়ে সম্পূর্ণ বহুবিধ ভূমিকায়। প্রতিদিন কয়েকশ' লোকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। কোথাও খাবার, কোথাও ওষুধ আবার শবদেহ দাহতেও 'ক্ষণিকের আত্মীয়'র রূপে এঁরাই। শুরু লকডাউনের প্রাক্কালে। প্রতিদিন নিয়ম করে চলে খোঁজ। রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা করোনা-সহ অন্য রোগীর পরিবারের খাবারের ভরসা 'আপনা রসই'! এমনকি শহরের বিভিন্ন মোড়ে দুঃস্থ ভবঘুরেদের থেকে করোনায় গৃহবন্দি পরিবার সকলের আশ্রয়স্থল এই আপনা রসুই। শুধুই অপেক্ষা একটা ফোন কলের।
advertisement

টোটোতে করে খাবার নিয়ে চলে আসেন শিলিগুড়ির শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। শুরুতে এসেছিল বাড়তি চাপ। কোভিডের মোকাবিলায় যখন ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা, তখন বিভিন্ন জায়গায় রাতদিন ছুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা এসেছিল পরিবার পরিজনদের থেকেই। আর এমন বাধা আসাটাই স্বাভাবিক! হু হু করে বাড়ছিল সংক্রমণের গ্রাফ। সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু দমানো যায়নি জয়ীতা-সোনাই-দীপক-দিশাদের। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে নেমেছেন যে তাঁরা।

advertisement

সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদিকা জয়ীতা সেনগুপ্ত দত্ত বলেন, 'আমাদের সংস্থাটি সম্পূর্ণ ভারতীয় সেনা দ্বারা পরিচালিত। আমরা রক্তদান থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাই। এমনকি অভুক্তদের; তা কোভিড রোগীই হোক না কেন, তাঁদের হাতেও রান্না করা খাবার নিয়ম করে তুলে দিচ্ছি। সেই উদ্যোগের নাম আপনা রসুই। নামেই যৌক্তিকতা রয়েছে। সকলে যেন নিজের (আপনা) মনে করে এই রসুই থেকে উপকৃত হয়, এটাই লক্ষ্য।'

advertisement

জয়ীতাদেবী আরও জানান, অনেকেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। কিন্তু যে রক্ত গ্রুপের চাহিদা বেশি অর্থাৎ নেগেটিভ রক্তের তাঁরা সচেতনতার মাধ্যমে সেইসব রক্তের যোগানের চেষ্টা করে চলেছেন। সম্প্রতি বিএসএনএলের অস্থায়ী কর্মচারী পরিবারগুলির হাতে চাল, ডাল, তেল, নুন, মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের মশলা ও ডিম সমেত ১৫ দিনের রেশন তুলে দেওয়া হয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কেউ থাকেন হাকিমপাড়ায় তো কেউ থাকেন নকশালবাড়ি এলাকায়। কেউ মিলনপল্লী তো কেউ তুম্বাজোত এলাকায়। সকলের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে আপনা রসই। দফায় দফায় কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে চলছে আপনা রসইয়ের লড়াইও। এদিকে শহরে শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে পাশে পেয়ে খুশি সাধারণ থেকে রোগীর পরিজনরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
'আপনা রসই' থেকে 'ক্ষণিকের আত্মীয়'! সবেতেই এগিয়ে শিলিগুড়ি অ্যান্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল