আদিবাসী সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ এই দুই নেতা কিছু মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন। সিধু ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়লে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে কানুকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়ায় একটি বটগাছে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তবে তাদের লড়াই এখনও অমর হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় এবং তা থাকবেও। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও যথাযথ মর্যাদার সাথে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে হুল দিবস পালন করা হলো। ৩০ জুন ছাড়াও ১ জুলাই এই হুল দিবস পালন করা হবে জেলা জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
advertisement
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে হুল দিবস উপলক্ষে জেলার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের ভুরকুনা কবিগুরু উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই অনুষ্ঠানের আগে বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা সিউড়ির সিধু কানহু মঞ্চে থাকা সিধু কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান করে এই দুই বীরযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানান। তারপরেই দুপুর ১২টা থেকে জেলার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। যেখানে বীরভূম জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে এই দিনটিকে স্মরণ করে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের দেওয়ানগঞ্জে হুল দিবসের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রথমেই বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী সিধু কানহুর ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। পরে একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও আয়োজন করা হয়েছিল আদিবাসী মহিলা এবং পুরুষদের বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ। এছাড়াও পুলিশের একটা টিম। যে খেলার শুরু হওয়ার আগে ফুটবলে কিক মেরে খেলার উদ্বোধন করেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। এই অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা।