সে লক্ষ্য করে তার দেওয়া থার্মোমিটারে জ্বরের অবস্থান প্রকাশ পাচ্ছে। ১০৮ জ্বর দেখা দিতেই সে তার মা-বাবা সহ পরিবারের সকলকে ডেকে নেয়। পরিবারের সব সদস্যই বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন বলে জানিয়েছেন। অস্মিতের ঠাকুমা মঞ্জু রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি আমরাও লক্ষ্য করেছি। প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে ধন্দে থাকলেও পরে দেখা যায় সত্যি থার্মোমিটারে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা পরিমাণ। ঘটনার বিবরণ বলতে গিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেল অস্মিতের বাবা ও মায়ের মধ্যে।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার হিজলপুকুরের বাসিন্দা ১৩ বছরের অস্মিত রায় চৌধুরী। বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা গৃহবধূ। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় অস্মিতের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবির প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তার। পেন্সিল, স্কেচ, জলরং, ও অ্যাক্রেলিক রঙে সে ফুটিয়ে তুলেছে একের পর এক ছবি। বিশেষ করে পোর্ট্রেট নিয়ে বেশি আগ্রহ এই শিশু শিল্পীর। ঘরে সাজানো নানা ট্রফি, সার্টিফিকেট, মেডেল দেখে বোঝা যায় তার প্রতিভার বিচ্ছুরণ। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া অনলাইন আর্ট কম্পিটিশনে গৌতম বুদ্ধ-র ছবি এঁকে সফলতা পেয়েছে সে। সারা ভারতের মধ্যে যে পাঁচজন গোল্ড মেডেল পেয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে অস্মিতের নাম। ছেলের এই সফলতায় উচ্ছ্বসিত তার বাবা শুভেন্দু রায় চৌধুরী ও মা অমৃতা রায় চৌধুরী। তাদের ইচ্ছে, অস্মিত শিল্প চর্চার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাক অনেকটা দূর।
১৩ বছরের এক বালকের শিল্প নৈপুণ্যের এমন নিদর্শন নজর কেড়েছে বহু চিত্রশিল্পীদের। বর্তমানে অস্মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর কাছ থেকে। ছাত্রের শিল্পচর্চার ধরন ও চিন্তাভাবনার প্রকাশ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী অস্মিতের শিক্ষক। তিনি মনে করেন, অস্মিত আগামীদিনে অনেক শিল্পীর প্রেরণা হয়ে উঠবে। এত অল্প বয়সে এই বালকের ছবি আঁকার বিষয় নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে শিল্পরসিকদের মনে। বাবা-মায়ের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে তাই অস্মিত এগিয়ে চলেছে শিল্পচর্চায় ভর করে।